মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলায় নিরীহ কৃষকের ফসলি জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। জমির মালিক মরিয়ম বেগম (৪০) এ ঘটনায় একই গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর পুত্র নুরশাদ আলীসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগে মরিয়ম বেগম উল্লেখ করেন, বিবাদীগণের মধ্যে ১ নম্বর অভিযুক্ত তাঁর চাচাতো ভাই, ২ ও ৪ নম্বর ফুফাতো ভাই এবং ৩ ও ৫ নম্বর ফুপা। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নারায়নপুর মৌজার জেল নং ১৬০, দাগ নম্বর ১৭৪৯ ও ৩৯০ এবং খতিয়ান নম্বর ৮৭৭, ৮৭২, ৫৯, ৮৭৩ ও ৮৭৫—এসব ধানী শ্রেণির প্রায় ১ একর ৬৬ শতাংশ জমি তিনি মাতৃসূত্রে উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছেন এবং গত প্রায় ৪০ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন।
এছাড়া আদালতের রায়ে পাওয়া আরও ৬৬ শতাংশ জমিও তিনি বিগত ২ বছর ধরে দখলে রেখেছেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, উক্ত সম্পত্তির একটি অংশ (দাগ নং ৩৯০) সংক্রান্ত একটি সিভিল মামলা আদালতে চলমান রয়েছে, যেখানে বিজ্ঞ আদালত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মরিয়ম বেগমকেই জমির দখলে থাকার নির্দেশ দেন। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুন ভোরে অভিযুক্তরা জনৈক এরশাদ আলীর নেতৃত্বে জমিতে চারা রোপণের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ সেখানে উপস্থিত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এরশাদ আলী নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভীতির সৃষ্টি করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে অভিযুক্তরা লাঠি, লোহার রড, বল্লম, হাসুয়া ইত্যাদি নিয়ে জমিতে প্রবেশ করে। এসময় জমির দেখাশোনাকারী মশিউর ও মতিউর বাধা দিতে গেলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এরশাদ আলীর প্রভাবের কারণে গ্রামবাসী মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তিনি নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন বলে দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ আলী জানান, তিনি কোনো দখল করেননি, বরং চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিছু মানুষের জমি বর্গাচাষ করছেন মাত্র।
এ বিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, “আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#