আবু রায়হান রাসেল নওগাঁ প্রতিনিধি : জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নামে বাংলাদেশে স্থায়ী কার্যালয় স্থাপনের চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, নওগাঁ জেলা শাখা। এ চুক্তিকে দেশের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী উল্লেখ করে সংগঠনটি আজ শুক্রবার, বাদ জুমা, এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বাদ জুম্মা নওগাঁ মুক্তির মোড় নওজোয়ান মাঠ গেট সংলগ্নে ।
বিক্ষোভ শেষে একটি শান্তিপূর্ণ গণমিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। সমাবেশে জেলার শীর্ষ আলেম ও ইসলামপন্থী নেতারা অংশগ্রহণ করবেন এবং বক্তব্য রেখেছেন।জেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ,মুফতি রাশেদ ইলিয়াস সভাপতি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, নওগাঁ জেলা। মুফতি ইব্রাহিম ফয়েজী, সহ-সভাপতি, মাওলানা হেলাল হাশেমী, সাধারণ সম্পাদক, মুফতি আব্দুল্লাহ সুবহান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মুফতি আবু বকর সাংগঠনিক সম্পাদক,মাওলানা শরিফুল ইসলাম – সভাপতি, সদর থানা শাখা,মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ সিদ্দিকী সাংগঠনিক সম্পাদক, সদর থানা মুফতি ইসরাফিল আলম সাধারণ সম্পাদক, খিলাফত মজলিস, নওগাঁ জেলা।
নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নামে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন করা হলে তা দেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এটি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করবে এবং ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হয়ে উঠবে।” তাঁরা আরও বলেন।এই জাতিসংঘ বিশ্বের কোন দেশে মুসলিম গণহত্যা ও জুলুম নির্যাতনের কথা বলেনি এবং কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফিলিস্তিনে ৭০ বছরে, কাশ্মীরে, ভারতে, ইরাকে, সিরিয়াতে ইত্যাদি এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় ভারতে নেই, নেপালে নেই, পাকিস্তানে নেই, ভূটানে নেই, শ্রীলংকায় নেই তাই আমরাও চায় না এবং এই জাতিসংঘ মুসলিম গণহত্যা বন্ধের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখেনি।
তারা বলেন, “আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের নাগরিক। ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ দেশের মুসলমানরা কখনোই বিদেশি শক্তির আধিপত্য মেনে নেবে না।” জমিয়তের পক্ষ থেকে সকল তাওহিদি জনতা, আলেম-উলামা ও দেশপ্রেমিক নাগরিকদেরকে এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।#