তিনি বলেন, ‘মানুষ যাতে আরও জনবান্ধব পরিবেশে চলাচল করতে পারে, নিরাপদ বোধ করে, মানুষের মধ্যে যাতে নিরাপত্তা সম্পর্কিত আস্থা থাকে-এজন্যই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা (নির্বাহী ক্ষমতা) দেয়া হয়েছে।’
জনপ্রশাসন সচিব আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে ‘সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ক্ষমতা’ প্রদান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
মোখলেস উর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সব পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একই সঙ্গে, একই ছাতার নিচে কাজ করছে। এই মেসেজটার জন্যই এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীকে মাত্র ৬০ দিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়ার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে বিস্তৃত পর্যায়ে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সেনাবাহিনী কাজ করছে। সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ক্ষমতা দেয়া হলে জনগণ আরও নিরাপদ বোধ করবে।’
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আছে, এক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব তৈরি করবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের কাজের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। এটা কোনও ক্যাডারের ক্ষমতা না, এটা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। এক রাষ্ট্র, এক জনগণ, এক সরকার। জনস্বার্থে আপনি কাজ করেন, আমি কাজ করি। সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া ভালো ফল দেবে।’
এর আগে মঙ্গলবার ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০দিন) জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারাদেশে প্রয়োগ করতে পারবেন বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।#বাসস