নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী’র উদ্যোগে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায় মঙ্গলবার একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এতে বিএসটিআই’র গুণগত মানসনদ গ্রহণ না করে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ‘ড্রিংকিং ওয়াটার (জার)’ এবং নিম্নমানের ‘ব্যাটারী পানি’ উৎপাদন ও বিক্রয়-বিতরণ করায় হলিদাগাছী এলাকায় অবস্থিত ইমরান পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানটিকে ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন-২০১৮’ মোতাবেক ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার টাকা মাত্র) জরিমানা করা হয় এবং গুণগত মানসনদ প্রাপ্তির পূর্বে সকল প্রকার উৎপাদন ও বিক্রি-বিতরণ বন্ধ রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘ড্রিংকিং ওয়াটার (খাবার পানি)’ পণ্যটি অধিকতর মানসম্মত পরিবেশে, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় মান নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি করতে হয় এবং পণ্যটির মান পরীক্ষণের জন্য কেমিক্যাল ও মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরী থাকা আবশ্যক হলেও তার কোনরকম ব্যবস্থাই ছিলো না প্রতিষ্ঠানটিতে। বরং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছিলো খাবার পানি। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে ‘ব্যাটারী পানি’ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (রিভার্স অসমোসিস মেশিন, অ্যানায়ন, ক্যাটায়ন প্রভৃতি) ছিলো না এবং পরিবেশও ছিলো উৎপাদনের অযোগ্য। ফলে উৎপাদিত পানির টিডিএস মাত্রা অত্যন্ত বেশি থাকায় গাড়ি ও আইপিএস সহ যেকোন ডিভাইসের ব্যাটারীর জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর। একই সাথে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ড ‘ভলভো’ নকল করে তৈরি করা হচ্ছিলো ব্যাটারী পানি।
বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চারঘাট, রাজশাহী জান্নাতুল ফেরদৌস এর নেতৃত্বে পরিচালিত উক্ত মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআই বিভাগীয় অফিস, রাজশাহীর সার্টিফিকেশন মার্কস উইং এর কর্মকর্তা প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ। জনস্বার্থে বিএসটিআই, রাজশাহীর এধরণের অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। #