কিরণগঞ্জ সীমান্তে এর সূত্রপাত হলেও বেলা ৩ টার দিকে তা চৌকা সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এটির বিস্তার লাভ করে। দু‘দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সীমান্তে থমথমে পরিস্থিত বিরাজ করছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি (শনিবার) বেলা ১১ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা চারটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছিলো বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গুরুতর আহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশের সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ফসলের আবাদি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সকালে বিএসএফ সীমান্তে এসে বাংলাদেশের নাগরিকদের আমের গাছ কাটা শুরু করে। পরে বাংলাদেশিরা গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। এরপর ভারতের কয়েক শ‘ লোকজন হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে ধাওয়া শুরু করে। শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। মাঝে মাঝে বিএসএফ কাঁদানে গ্যাস ও ককটেল ছুড়ে বাংলাদেশীদের দিকে।
চৌকা সীমান্ত এলাকার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাদশাহ বলেন, ওরা (ভারতীয় নাগরিকেরা) বাংলাদেশে ঢুকে আমাদের ধাওয়া করেছিলো। তাদের হাতে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। পরে আমরাও ধাওয়া করি। তখন বিএসএফ আমাদের দিকে ককটেল ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আমি যখন ওখানে ছিলাম তখন ১০ টা টিয়ার শেল মেরেছিলো।
স্থানীয় মোঃ ইউসুফ আলী; সমাজসেবক ও সচেতন ব্যক্তিত্ব বলেন, দেশে রক্ষায়; জাতি, ধর্ম-বর্ণ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের নির্বিশেষে আমরা সবাই অন্যান্য। আপনাদের (বিজিবির) সহযোগিতায় জনগণ পাশে আছে, থাকবে সবসময় এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। এক ইঞ্চি মাটি ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের মাটি রক্ষায় হয় মৃত্যু! না হয়, দেশের মাটি।
এ ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বিজিবি ও বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।#