মোঃ নাসিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রায় ৯ কোটি টাকার প্রকল্পে দুই কিলোমিটার ড্রেনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয় এলাকাবাসীদের।ঠিকাদারের চরম খামখেয়ালিপনা যা চোখে পড়ার মতো? এ যেন রথ দেখা ও কলা খাওয়া। অবশেষে এলাকাবাসীর তোপের মুখে কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যায় ঠিকাদারের সাব লীজ গ্রহীতা ঠিকাদার মতিন ও তার লোকজন।
খবর পেয়ে প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায় ঠিকাদার টগর ও মতিন প্রকল্পের ড্রইং ও সিডিউল কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নাচোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সামনে তৈরিকৃত ড্রেনের উপর প্রাচীর নির্মাণের জন্য প্রায় আট ফিট উঁচু করে তুলেছে একাধিক পিলার। যা মন গড়া ভিত্তিহীন কাজের সামিল। এছাড়াও মোটা অংকের টাকা খেয়ে বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আঁকা বাঁকা করে ড্রেন নির্মাণ,পরিমাণ মতো রড সিমেন্ট ছাড়াই নরমাল ভরাট বালু দিয়ে কাদামাটির মধ্যে ঢালাই করেই চালাচ্ছে ড্রেনের কাজ।
সচেতন মহলের দাবি আর কত দুর্নীতি হলে দেশ শান্ত হবে প্রতিটি দপ্তরে প্রতিটি ঠিকাদারদের ভিতরে শুধু টাকার নেশা। কখন বন্ধ হবে এই রকম পরিকল্পনাহীন কাজ। এই ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এই মহলটি। এলাকাবাসী আরো বলেন কাজ আপাতত বন্ধ আছে এই কাজ যদি আবার শুরু করে তাহলে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো এমনকি মানববন্ধন সহ রাস্তা অবরোধ করতেও পিছুপা হবো না।
এ বিষয়ে সাব লীজ গ্রহীতা কন্টাকটার মতিন বলেন আমি একজন কর্মচারী এই কাজ প্রধান ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছ থেকে পেয়েছি। ড্রেনের উপরে পিলার দেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা ড্রইং বা সিডিউলে নেই কিন্তু প্রাণিসম্পদের জেলা এক্সসেন অফিসার সহ এই প্রকল্পের সবাই উপস্থিত হয়ে এই কাজ করার অনুমতি দেন।
নাচোল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে ড্রেনের উপর পিলার দিয়ে কিভাবে প্রাচীর নির্মাণ করে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেলা স্যারকে অব্যাহতি করলে তিনি বলেন, তোমার প্রাচীর পাওয়া নিয়ে কথা যেখান দিয়ে ইচ্ছে সেখান দিয়ে দিক।
নাচোল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, কাজ আপাতত বন্ধ আছে। নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল উদ্দিন বলেন সরেজমিনে গিয়েছি একটু সমস্যা হয়েছে এখন কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ আছে বলে জানান।#