মোহাঃ হারুন অর রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় বিষধর সাপের কামড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রের জানা গেছে, নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়ন এর বরেন্দ্র গ্রামের কান্তু কর্মকার ওরফে মহাদেবের ছেলে সুনীল কর্মকার (৩২) সাপের কামড়ে নিহত হন। শনিবার দিবাগত আনুমানিক রাত ৩টার দিকে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। পরে পরিবারের লোকজন সুনীলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোদাগাড়ী এলাকায় মৃত্যুবরণ করলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে শনিবার বিকেলে ভোলাহাট উপজেলার খাড়োবাটরা গ্রামের মৃত মুসলিম আলীর ছেলে আজিজুল হক (৪৮) ধানের জমির পাশে ঘাস কাটার সময় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে শনিবার দিবাগত আনুমানিক রাত ২টার দিকে আলালপুর ক্যাম্প পাড়ায় আওকাত আলীর ছেলে রানাউল ইসলাম (৩১) কে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড় দেয়। রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোদাগাড়ী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া কয়েকদিন আগে হোসেনভিটা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে আনারুল হক (৫২) ধানের জমিতে কাজ করার সময় রাসেলস ভাইপার সাপে কামড় দেয়। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে ৬ জন সাপে কাটা রুগিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় সুস্থ হলেও ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোলাহাট থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে বারী জানান, সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। অপর মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
নাচোল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম নুরুল কাদির সৈকত জানান, নিহত সুনীলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। পরে গ্রামে ফিরে এসে কবিরাজের নিকট নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু নিশ্চিত করা হলে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।#