1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী তৎপর পচ্ছন্দের শীর্ষে বেলাল

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৪১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আলিফ হোসেন, তানোর………………………………………………………

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মীসমর্থকেরা গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। আড্ডা ও চায়ের কাপে উঠেছে আলোচনার ঝড়।

নির্বাচন কমিশন থেকে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের দিকেই ঘোষণা করা হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল। এই নির্বাচন ঘিরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী  উপজেলায় শুরু হয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা। বর্তমান চেয়ারম্যানরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে করছেন সভা। আবার নতুন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে জানান দিচ্ছেন তাদের নির্বাচন করার কথা। বর্তমান এবং নতুনরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তুলে ধরছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি। এখানো নির্বাচন থেকে দূরে সরে আছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তাদের বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভোটে আসবে কি না তা নিয়ে এখনি মুখ খুলছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়া অন্য কোন দলের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার মনোভাব দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় সমর্থনে নির্বাচন করবেন। আবার একই দলের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র হয়ে ভোটের মাঠে লাড়াই করবেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক রাখবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে দলীয় প্রতীক যদি উঠিয়ে দেয় তাহলে তাহলে নির্বাচনী আমেজ হবে ভিন্ন।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে সবকিছু পিছনে ফেলে আলোচনার শীর্ষে উঠেছেন তরুণ শিল্পপতি , মেধাবী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা বেলাল উদ্দিন সোহেল। তৃণমুলেও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে বেলাল উদ্দিন সোহেল। তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতার ইচ্ছে প্রকাশ করে নির্বাচনের প্রস্ত্ততি নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক খেলাধুলা ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।

উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে তরুণ, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও মেধাবী নেতৃত্ব হিসেবে তার একটা নিজ্বস্ব ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। এদিকে ভোটারদের অধিকাংশ তরুণ, এসব ভোটারদের মানসিকতা ও তৃণমূলের  পচ্ছন্দ বিবেচনা করে তরুণ নেতৃত্ব বেলাল উদ্দিন সোহেলকে নির্বাচনে প্রার্থী করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে  বর্তমান চেয়ারম্যানসহ মোট ৭ জন প্রার্থীর নাম আলোচনায় রয়েছে। তাদের সকলেই আওয়ামী লীগের নেতা। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ২০১৯ সালে নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। সে উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান। ।

এছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আব্দুর রশিদ, যুগ্ম-সম্পাদক ও গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক সুনন্দন দাস রতন ও উপজেলা যুবলীগের অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল উদ্দিন সোহেল চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদের মধ্যে সুনন্দন দাস রতন কাস্টমস গেয়েন্দা সংস্থার সহকারি পরিচালক ছিলেন। ২০২১ সালে অবসর গ্রহণ করার পর রাজনীতির মাঠে সরব হন। ১৯৮০ সালের দিকে প্রেমতলী ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।  অন্যদিকে বদিউজ্জামাল গতবার মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়লে বিদ্রোহী হয়ে ভোট করে পরাজিত হন। এর পর স্থানীয় এমপির কাছ থেকে দূরে সরে যায়। দলীয় কর্মকান্ড থেকেও সে সরে দাড়ায়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলে সেখান থেকেও সে দূরে থাকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে মাঠে সরব থাকতে দেখা যায়।

এদিকে এমপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেন, তারা নির্বাচন করার প্রাত্যাশা করতেই পারেন তবে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনার বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবেন না। তিনি আমাদের নেতা তিনি যেভাবে চাইবেন সেই ভাবেই তারা নির্বাচন করবেন। এবিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও  চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি যেহেতু নৌকার প্রার্থী হয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হয়ে আছেন, তাই মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপরে তিনি শতভাগ আশাবাদি।

তিনি জনগনের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন। এছাড়াও গত নির্বাচনের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেসব শতভাগ বাস্তাবায়ন না হলেও কম উন্নয়ন হয়নি। আগমীদিনে আবারও সুযোগ পেলে এই এলাকার উন্নয়ন শতভাগ বাস্তাবায়ন করবেন বলে জানান। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল সালাম শাওয়াল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনেই বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। তাই তাদের কোন নেতাকর্মীর নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। রাজশাহী জেলা পশ্চিম জামায়াতের আমির গোদাগাড়ী মাটিকাটা ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল খালেক জানান, নীতিগত ও দলীয় ভাবে জামায়াতের পক্ষ থেকে এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন না করার সিন্ধান্ত বহাল আছে। তাই এখনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি বলা যাচ্ছে না। গোদাগাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বরজাহান আলী পিন্টু বলেন, তাদের দলীয় সভা হবে সেই সভায় কি সিদ্ধান্ত হয় তারপর বলা যাবে কে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবেন না কি হবেন না।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট