# মোঃ আলফাত হোসেনঃ আইন শৃঙ্খলার উন্নতি, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও পাটকল চালু করুন রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা, বন্ধকৃত ২৬টি পাটকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু, শ্রমিকদের সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ, খালিশপুর, দৌলতপুর জুটমিলসহ ৫টি পাটকলের শ্রমিকদের পাওনা প্রদানের দাবিতে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর লাগামহীন উর্ধ্বগতি, জনগণের ওপর নতুন করে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন খুলনার খালিশপুর থানা কমিটির উদ্যোগে এক কর্মী সমাবেশ গোয়ালপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিকনেতা মোঃ মোশারেফ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ সুমন। কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।
বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলা আহবায়ক রাফেজা বেগম, সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন, ক্রিসেন্ট মিল রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো জাকির হোসেন, সহ- যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুল আলম, আবুল খায়ের প্রমুখ।
কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, রাষ্ট্রীয় পাটকল বন্ধের কারণে লক্ষাধিক শ্রমিক ও তাদের পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার মিল বন্ধের দুইমাসের মধ্যে সকল পাওনা পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও অদ্যাবধি অনেক শ্রমিক এরিয়ারসহ তাদের বকেয়া পাওনা পায়নি। খালিশপুর ও দৌলতপুরসহ ৫টি জুটমিলের শ্রমিকরা এখনও বকেয়া কোনো টাকা পায়নি। মিলগুলির স্কুলের ছাটাইকৃত শিক্ষক-কর্মচারিরা অনেক কষ্টে আছেন।
কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি মুনীর চৌধুরী সোহেল আরো বলেন, চাল-ডাল-ভোজ্যতেল-চিনি-গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এমন অবস্থায় সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রায় ১৪৮টি পণ্য দ্রব্যের ওপর নতুন করে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করায় দ্রব্যের দাম আবারো উর্ধ্বমুখী হয়েছে। ভ্যাটের নামে জনগণের পকেটে হাত দেওয়ার আগে রাষ্ট্রের উচিত লুটপাটে পাচার হওয়া কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে নজর দেয়া। সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত আয়কে শুল্ক-করের নাম করে হাতিয়ে নেওয়া শুধু অন্যায়ই নয়, এটি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার একটি অমানবিক প্রবণতা।
দেশের আর্থিক ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে লুটপাট, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রধান অতিথি খুলনায় সাম্প্রতিককালে চরম আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, খুলনায় বিগত ৪ মাসে ১২ জন খুনের ঘটনা ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙ্গে পড়ার কারণে খুনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, যার জলন্ত উদাহরণ খুবির শিক্ষার্থী অর্ণব খুন। বদলী কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নয়, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের সকল স্তরের ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই।#