এসএন ডেস্ক : প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে মাঠ থেকে ধান কেটে দ্রুত বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঝাড়াই-মাড়াই করে ফসল ঘরে তুলতে রোদে পুড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে ঝড়-বৃষ্টিতে আক্রান্ত না হলে ও বাজারে ধানের দাম ভালো পেলে মুনাফার সম্ভাবনা দেখছে কৃষকেরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ধান কাটা, আটি বাধা, বয়ে বাড়ি নিয়ে আসা, ঝাড়া মাড়াই করে ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত কৃষকেরা। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
জেলার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার গ্রামের কৃষক ওসমান মিয়া বাসসকে বলেন, এ মৌসুমে ৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেন। ফলন বৃদ্ধিতে শুরু থেকেই কৃষি কর্মকর্তারা তাকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শসহ সহযোগিতা করেন। এ পর্যন্ত আগাম ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি ধান আগামী সপ্তাহে কাটা হবে। তিনি আরও বলেন, সার-সেচসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ায় এ বছর তার জমিতে ফলন ভালো হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করায় প্রতি বিঘায় তিনি ১৮-১৯ মণ ধান পেয়েছেন। বরুড়া উপজেলা খোশবাশ গ্রামের কৃষক রমিজ উদ্দিন বলেন, এ মৌসুমে তিনি ১২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান আবাদ করেন। তবে এ মৌসুমে সার, বীজ, কীটনাশক ও ডিজেলসহ সবকিছুই বেশি দামে কিনতে হওয়ায় আবাদে তার খরচ বেশি হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তার জমিতে ভালো ধান হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যদি ধান কাটা শেষ করতে পারেন তাহলে তিনি লাভবান হবেন।
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কৃষক মতিন ব্যপারী বলেন, সময় মতো পানি, বীজ, সার পাওয়ায় ও সঠিকভাবে জমির পরিচর্যা করায় ধানের ফলন ভালো ফলন হয়। ২ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাকি ধান কাটা শেষ হবে। ধান ব্যবসায়ী আবিদ আলী জানান, ১১শ টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, এবার আবহাওয়া বোরো ধান চাষের উপযোগী ছিল। উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩০% এরও বেশি ধান কর্তন হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলন পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করি।# বাসস