প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ‘বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৪’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)’র সকল অংশীজন এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ এ্যাক্রেডিটেশন: এমপাওয়ারিং টুমোরো এন্ড শ্যাপিং দ্য ফিউচার’ যা সময়োপযোগী এবং স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে পরিপূরক বলে তিনি মনে করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে সমন্বিত প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে আমাদের জীবনযাত্রা, কাজ ও পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্রুত মৌলিক পরিবর্তন হচ্ছে। সামগ্রিক উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা এবং সুশাসনের ওপর এর প্রভাব ব্যাপক, বিস্তৃত, গভীর ও সুদূরপ্রসারী।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক টেকনোলজির ব্যবহার উৎপাদনে ব্যাপক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এনেছে। ফলে একদিকে নতুন সম্ভাবনা এবং অন্যদিকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগত সুবিধাকে ধারণ করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা, খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং উৎপাদিত সেবা ও পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএবি সরবরাহ শৃঙ্খলের সকল পর্যায়ে দেশীয় পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, কারিগরি ক্ষেত্রভিত্তিক দক্ষ জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণে সহায়তা এবং জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, বিএবি ইতোমধ্যে বিদ্যমান এ্যাক্রেডিটেশন স্কিমের আওতায় ১৪১টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সাযুজ্য নিরূপণকারী সংস্থা (ল্যাবরেটরি, মেডিকেল,ডায়গনষ্টিক ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থা) কে আন্তর্জাতিক মান এবং গাইডলাইনস অনুসারে এ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশব্যাপী শিল্পখাতের কার্যকর বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে গত এক দশকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সমন্বিত করেছে। টেকসই শিল্পায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে বিএবি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।#বাসস