গাজা যুদ্ধ নিয়ে এ অঞ্চলে ইতোমধ্যে অশান্তি বিরাজ করায় বিশ্ব নেতারা সংশ্লিষ্ট সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ইরানের হামলার সামরিক প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে বেশ কিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক এএফপি’কে বলেছেন, ইসরায়েল শিগগিরই বা পরে ইরানের এমন হামলার জবাব দেবে এ ব্যাপারে তাদের কোন সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে তারা ইসরায়েল এবং জোটের জন্য বিশাল ঝুঁকির এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে এর প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
কেন ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে? –
ইসরায়েল এবং ইরানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র হলো চির শত্রু দেশ। যারা বছরের পর বছর ধরে গুপ্তহত্যা, সশস্ত্র হামলা এবং নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে আসছে। উভয় দেশকে প্রায়শই মিত্র ও প্রক্সি বাহিনীর মাধ্যমে যুদ্ধে জড়াতে দেখা যায়।
শনিবার রাতে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলা শুরু চালায়। এসব হামলায় তারা শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যবহার করে।
নিরাপত্তা পরামর্শদাতা স্টিফেন অড্র্যান্ড বলেছেন, যদিও ইসরায়েল এবং তাদের মিত্ররা এসব হামলার অধিকাংশ ঠেকিয়ে দিয়েছে। ইরানের এমন হামলা দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন করে চরম অবনতি ঘটে।
এদিকে ইরান বলেছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কোতে তেহরানের কনস্যুলেট ভবনে ১ এপ্রিল চালানো ভয়াবহ বিমান হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা এসব ড্রোন ও বিমান হামলা চালায়। ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল।
ওই হামলায় দুই সিনিয়র জেনারেলসহ ইরানের সাতজন রেভল্যুশনারি গার্ড নিহত হয় এবং সেখানে হামলার পরপরই ইরান এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়।
অড্র্যান্ড বলেছেন, ‘ইসরায়েলের ভূখ- অন্য রাষ্ট্র দ্বারা হামলার শিকার হলে, এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগতভাবে ইসরায়েলের একটি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধান তামির হায়মান যুক্তি দিয়ে বলেন, ইসরায়েল তাদের সুবিধা মতো সময়ে পাল্টা আঘাত করবে এমনটা প্রায় নিশ্চিত।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া তার ভবিষ্যদ্বানীতে বলেন, ‘ইরানের মাটিতে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল তাদের জবাব দেবে।#বাসস