# তীর্থ সলিল ঠাকুর…………………………………………………………………….
ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক(interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে-অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। এক কথায় বলতে গেলে যোগাযোগ মাধ্যমের যে অদৃশ্য জাল পৃথিবীকে একত্রিত করে রেখেছে তাকে আমরা বলি ইন্টারনেট। ইন্টারনেট আধুনিতকার বার্তা বাহক যা পৃথিবীকে তৈরি করেছে একটা গ্রামের সমান। আঙুল এর এক ইশারায় আমরা পৃথিবীর যে কোনো খবর জানতে পারি, জানাতে পারি নিজের খবরও। আজ আর কেউ চারদেয়ালের জীবনে আবদ্ধ থাকে না চারদেয়ালের গন্ডি ছাড়িয়ে আজ মানুষ এক মূহুর্তে পাড়ি জমাচ্ছে তথ্য ও জ্ঞান এর বিরাট সাগরে খুজে নিচ্ছে নিজের প্রয়োজনীয় জ্ঞান।
নেট দুনিয়া আমাদের হাতে নিয়ে এসেছে গোটা বিশ্ব আজ আর কারো সাথে মনের কথা বলার জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় না। নিজের প্রিয় মানুষের কাছে মনের কথা পৌছে দেওয়া এখন মূহুর্তের বিষয়। শুধু মনের কথা নয় ছবি, ভিডিও গান সহ যেকেনো তথ্য পাঠিয়ে আমরা প্রকাশ করতে পারি আমাদের মনের অনুভূতি। মানুষ ঘরে বসেই আজ করে নিতে পারছে বাজার ও নিত্য কিনাকাটা। আজ কেউ একা নয় সময় কাটাতে ব্যবহার করছে বিভিন্ন বিনোদন মূলক সাইড। অনেকে আবার নেট দূনিয়ায় খুজে নিচ্ছে তাদের কর্ম সংস্থান। নেট দুনিয়ার এমন নিত্যনতুন সেবা প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করে চলেছে আমাদের।
মানুষের কাজের গতি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করেছে ইন্টারনেট।এখন ইন্টার নেট দিয়ে ঘরে বসেই এক মিনিটে সব কাজ করা সম্ভব। শিক্ষা থেকে ব্যাবসা কিংবা বাজার থেকে চিকিৎসা পর্যন্ত আজ সব কিছুই ইন্টারনেটের আওতাভুক্ত। আমাদের প্রত্যেক জীবনের সাথে স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে জড়িত হয়ে পড়েছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট ব্যতীত একটি দিন কল্পনা করা হয়তো মানব জাতির জন্য অসম্ভব বিষয়। তবে একটি মুদ্রার যেমন দু’পিট বিদ্যমান তেমন ইন্টারনেট দুনিয়ার কিছু অপকারিতা আমাদের চোখে পড়ে। অনেকেই শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক ক্ষেত্রেই অপ্রাপ্তবয়স্করা
ইন্টারনেট মাধ্যমে আসক্ত হয়ে যায়, শিশুদের জন্য ফলাফলটি আরো ভয়াবহ!ইন্টারনেটে আসক্ত একজন শিশুর সুস্থ মানবিক বিকাশে ব্যাহত হয়। ইন্টারনেটে আসক্তির মাধ্যমে একজন শিশু সামাজিকতা নৈতিকতা, সহমর্মিতা বোধ ও নিয়মতান্ত্রিকতা শিখতে পারেনা। সর্বোপরি ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে পারে এই সুন্দর পৃথিবীর থেকে। ভার্চুয়ালিটির নেশায় পড়ে পৃথিবীর সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে না পারার মতো দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সম্মুখীন হয় অনেকেই।
ইন্টারনেট আমাদের পুরো বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে ঠিকই তবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে পরিবারের সাথে। মানুষ মিথ্যা জগতের লাইক কমেন্ট এর জন্য সত্যিকার জগতের বন্ধুত্ব ভালোবাসা অগ্রাহ্য করে চলেছে প্রতিনিয়ত। অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে আসক্তির বিষয় আবার ইন্টারনেটের অসুস্থ কনটেন্ট আমাদের সুস্থ জীবনকে করে তুলছে অস্থিতিশীল। ইন্টারনেট মাধ্যমের সুযোগ গ্রহণ করে কিছু অসাধু ব্যক্তিত্ব তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে। গুজব ছড়ানো থেকে শুরু করে আতঙ্ক ছড়ানো প্রতিনিয়ত এর স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও উস্কানিমূলক কনটেন্ট যেন হয়ে উঠেছে অতি সাধারণ বিষয়।
আমি একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়াশুনা করার জন্য স্বপ্ন দেখছি খুলনা আর্ট একাডেমি চারুকলা ভর্তি কোচিং এর ১৪তম ব্যাচের ছাত্র হতে পেরে ধন্য কারণ আমি এখন পর্যন্ত যে শিক্ষা বিদ্যাপীঠ থেকে অর্জন করেছি তা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস নবীন চারু শিল্পী গড়ার কারিগর হিসেবে যে সম্মাননা পেয়েছেন এটি স্যারের ক্লাসে প্রমান পেয়েছি। আজ আমি এই লেখাটি স্যারের ক্লাসে পরীক্ষার শেষে লিখতে দিয়েছিলেন। তাই এমন একটি লেখা লেখার সুযোগ পেলাম স্যারকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ভাবে শিক্ষার সুন্দর ব্যবস্থা করার জন্য। আমি যদি স্টুডেন্ট না হতে পারতাম তবে জীবনে এই শিক্ষার অভাব থেকে যেত বলে মনে করি। সর্বোপরি ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রিত ও পরিমার্জিত ব্যবহারই পারে একজনকে সুন্দর করতে।#