1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
গাজায় খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে: ডব্লিউএফপি নতুন চুক্তি না হলে ইরানের ওপর হামলায় ‘অগ্রণী ভূমিকা’ নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের মান্দায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত আত্রাইয়ে রোদের তীব্রতায় ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি, চিন্তায় চাষিরা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হত্যার চেষ্টা মামলার সাক্ষী কে ভয় ভীতি প্রদর্শন, থানায় জিডি  ভারতের পহেলগাঁও কাণ্ডের পর নিরাপত্তাবাহিনীর নিশানায় স্থানীয় ১৪ জঙ্গি, তালিকা তৈরি ভারতীয় সেনা প্রস্তুত!  পাক হুঁশিয়ারির মাঝে সতর্কতার বার্তা  নির্বাচন খুব তাড়াতাড়ি হওয়ার লক্ষণ দেখি না: মির্জা আব্বাস তীব্র গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১০ উপায় জিম্বাবুয়েকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

আত্রাইয়ে রোদের তীব্রতায় ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি, চিন্তায় চাষিরা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ ফিরোজ আহমেদ, আত্রাই,প্রতিনিধিঃ দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ, তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার ( ২৬ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়,সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা।গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি।এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের আমচাষি মোঃ মিলন বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি দেলোয়ার বলেন,বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।পানি,ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে।গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না।আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন,আত্রাই উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই।এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে। যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট