1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
গ্রন্থাগার পরিদর্শন করলেন রাবি উপচার্য দুর্গাপুরের উজালখলসী বিলে পুকুর খননের মাটি ড্রাম ট্রাকে পরিবহন করায় রাস্তার ক্ষতি বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে কবরস্থানের রেকর্ডভুক্ত রাস্তা দখলের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ইবি শিক্ষার্থী নিহত কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষকের ভুলে মাস্টার্সের ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল! পীরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষ মালামাল লুট কুষ্টিয়ায় ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, ইউপি চেয়ারম্যান আটক বাঘায় বিদুৎ স্পর্শে অকালে ঝরে গেল তাজা প্রাণ, স্বপ্ন পূরণ হলোনা শিক্ষক পরিবারের ! ডিবি পুলিশের অভিযানে ১৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ১ রাজশাহী পর্যটন মোটেলে এনসিপির সাংগঠনিক সভা

আত্রাইয়ে রোদের তীব্রতায় ঝরে যাচ্ছে আমের গুটি, চিন্তায় চাষিরা

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ ফিরোজ আহমেদ, আত্রাই,প্রতিনিধিঃ দুই সপ্তাহের টানা তাপপ্রবাহের কারণে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ, তেমনই ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। পানি সেচসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া থেকে ঠেকানো যাচ্ছে না আমের গুটি। ফলে চিন্তার ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে আম চাষিদের কপালে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় এবছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আম চাষ হয়েছে, যা গতবছরের তুলনায় ৩০০ হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৪ দশমিক ২৪ টন হিসেবে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শনিবার ( ২৬ এপ্রিল) বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা যায়,সবুজ পাতায় ভরে আছে গাছ। কিন্তু নেই কাঙ্ক্ষিত আমের দেখা।গাছে গাছে আমের গুটির খরা। রোদের তীব্রতায় গাছের নিচে অসংখ্য ছোট, মাঝারি আমের গুটি ঝরে পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতি আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর বেশিরভাগ আম বাগানেই।

চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এবছর আম বাগানে মুকুল এসেছিল চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এরপর চলতি মাসে প্রায় ১৫ দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমের বোঁটা শুকিয়ে ঝরে পড়ছে গুটি।এতে পানি সেচ ও নানা পদ্ধতি অবলম্বন করেও ঝরে পড়া ঠেকাতে পারছে না। ফলে এদিকে আম চাষে যেমন খরচ বাড়ছে অন্যদিকে আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।

আত্রাই উপজেলার হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের আমচাষি মোঃ মিলন বলেন, চলতি মৌসুমের শুরুতে কম ছিল মুকুল। যে মুকুল এসেছিলো সেটি টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচর্যা করা হয়। মুকুল বের হওয়া শেষ হলে আমের গুটি আসে। কিন্তু গুটি আসার পর অনাবৃষ্টি ও তাপদাহে প্রতিদিনই আমের গুটি ঝরে পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে গাছে আম টেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

একই এলাকার আরেক আমচাষি দেলোয়ার বলেন,বাগানের আম রক্ষার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।পানি,ওষুধ দেওয়ার পরও প্রচণ্ড গরম আর রোদের কারনে আমগুলো ঝরে পড়ছে।গাছে আম টেকানো যাচ্ছে না।আবার কালবৈশাখী ঝড় হলে আম নষ্ট হবে। সব মিলিয়ে আম চাষিরা এবছর বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

বরেন্দ্র অ্যাগ্রো পার্কের উদ্যোক্তা সোহেল রানা বলেন,আত্রাই উপজেলা এমনিতেই পানি সংকটাপন্ন এলাকায়। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোন বৃষ্টি নেই।এ অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে যাবে। যেসব বাগানগুলোতে সেচের ব্যবস্থা আছে সেসব বাগানগুলোতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।আর যেসব বাগানে সেচের ব্যবস্থা নেই সেসব বাগানগুলো থেকে আম ঝরে যাচ্ছে। তাই আমাদের সরকারের কাছে দাবি বাগানগুলোতে যেন সেচের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বলেন, প্রতিবছরই স্বাভাবিকভাবে এমন সময় গাছ থেকে আমের গুটি ঝরে পড়ে। তবে এই সময়ে গাছে বাড়তি পরিচর্যা করলে অস্বাভাবিকভাবে গুটি ঝরে পড়া বন্ধ হবে। আম গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি প্রয়োজনে গাছের পাতায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। আমরা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের আমের গুটি ঝরা রোধে সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে এখনো পর্যন্ত আমের উৎপাদনে বিপর্যয়ে কোন আশঙ্কা নেই। কারণ আমের গুটি ঝরে যাওয়র পরও যে পরিমাণ আম থাকবে তা দিয়েই আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট