1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
চেক ডিজঅনার মামলায় হাসপাতালে মারা গেলেন কারাবন্ধী ইজদার রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত: খলিলুর রহমান নলছিটিতে স্বেচ্ছাসেবক দল আহ্বায়ক-সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন খুলনায়  সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ভোলাহাটে উপজেলা প্রশাসন গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ উদ্বোধনী  বাঘায় সম্পত্তির বিরোধে প্রতিমা চুরির ‘ভুয়া’ খবর শিবগঞ্জে পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার  রাকসু ভিপি পদে মোঃ আবদুল বারিকের প্রার্থিতা ঘোষণা, ২৪ দফা ইশতেহার প্রকাশ বাগমারায় গোপনে মাদ্রাসার কমিটি গঠন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন রাণীশংকৈলে মহানবী (সাঃ) কে কটুক্তি করার প্রতিবাদে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ সমাবেশ 

আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাইনি নাটোরের লালপুরের মোজাম্মেল, মানবতের জীবন-যাপন তার পরিবারের

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৮৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর, নাটোর…………………………….,,

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনে এক লড়াকু সৈনিক ছিলেন নাটোরের লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ৭ নম্বর সেক্টরের অধীনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের এতদিন পেরিয়ে গেলেও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হকের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল কাগজপত্র,ডকুমেন্টস ও বিভিন্ন সনদপত্র থাকলেও আজও বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাইনি এই মুক্তিযোদ্ধা।

 

এবিষয়ে মোজাম্মেল হকের স্ত্রী হাজেরা বেওয়া বলেন, আমার স্বামী মোজাম্মেল হক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।তার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল ডকুমেন্টস আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। যুদ্ধের পরে ফুলবাড়িয়াতে আমাদের কোন জমি জায়গা না থাকায় বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়ারামপুর এলাকার নন্দীকুজা কাজীপাড়ায় সরকারি খাস জমিতে কোন মতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করা অবস্থায় আমার স্বামী মোজাম্মেল হক গত ২০০০ সালের ৬ জানুয়ারীতে মৃত্যু বরণ করেন এবং নন্দীকুজা কবর স্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পরে আদ্যবধি আমি আমার ১ছেলে(মোরজেম)ও ১ মেয়ে(মর্জিনা) নিয়ে কখনো অনাহারে কখনো অর্ধহারে আবার কখনো উপোবাসের মাধ্যমে মানবতের জীবন যাপন করছি।

 

তিনি আরোও বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন, যদি আমার স্বামীর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সকল ডকুমেন্টস গুলোর সঠিকতা যাচাই করে তাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার ব্যবস্থা করে দিতেন তবে এই শেষ জীবনে আমি ও আমার পরিবার নিয়ে কোন মতে স্বস্তি পেতাম।

 

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফুলবাড়িয়াতে তাদের নিজস্ব বাড়ি ছিল কিন্তু বর্তমানে সেখানে তাদের নিজের কোন জমি জায়গা না থাকায় নন্দকুজা কাজীপাড়া এলাকার সরকারি খাস জমিতে বাড়ি করা সেই টিনের বেড়ার ছোট্ট একটি ঘরে ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন মতে বসবাস করলেও টিনের ফোঁক-ফাকড় দিয়ে যেকোন সময় সাপ,বিচ্ছু পোকা-মাকড় অনায়াসেই ঘরে প্রবেশ করে দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে এবং বর্ষাকালে ঘরের চারিদিকে পানি বদ্ধ হয়ে চলাচলের অসুবিধা হয়।

 

এদিকে মেয়ে মর্জিনার বিবাহ হলেও শ্বশুরবাড়িতে স্বামী ও তার পিতার সাথে বনিবনা না হওয়ায় জামাই ও মেয়ে বর্তমানে ঐ মুক্তিযোদ্ধার ভাঙ্গা ঘরেই আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে ছেলে মোরজেমও বৈদ্যুতিক শর্ট খেয়ে ১ যুগ ধরে কর্মহীন হয়ে পড়ে রয়েছে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট