মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি…………………………….
যশোরের অভয়নগর উপজেলা প্রসাশনের কোন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে নিত্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষ ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন উপজেলা প্রসাশন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বাজার মনিটরিং না করায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছামত নিত্যপণ্যের মূল্য আকাশ ছোয়া করে ফেলেছে। ফলে নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষের বোবা কান্নার শেষ নেই। বাজার ঘুরে দেখা যায়, একই পণ্য এক এক দোকানে ভিন্ন ভিন্ন মূল্য। বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন নওয়াপাড়াসহ উপজেলার কোথাও প্রসাশনের তরফ থেকে বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়না। যে কারণে পাইকারীসহ খুচরা বিক্রেতারা তাদের মনমতো নিত্যপণ্যর মুল্যে ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী চড়া মূল্যে বিক্রি করে থাকেন। ফলে ক্রমাগত উপজেলার নিন্ম আয়ের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ফলে অসহায় নিন্ম আয়ের মানুষের বোবা কান্নার যেন শেষ নেই।
গরুর মাংস, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, তেল, সবজি, চিনিসহ বাজারে এমন কোন দ্রব্য নেই যার মূল্য বাড়েনি। এ জন্য দায়ী অতিলোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ঐ সব অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।
চলিশিয়া গ্রামের ভ্যান চালক আক্কাস আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে ডাউল আর দুই কেজি চাল কিনলে টাকা শেষ, আর কিছু কেনার টাকা থাকেনা, বাজারে জিনিস পত্রের যে দাম পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরা ছাড়া উপায় নেই, সরকারের আমাদের দিকে কোন খেয়াল নেই, বাঁচব কি ভাবে। এ রকম একই অভিযোগ ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক থেকে শুরু করে নিন্ম আয়ের প্রতিটি নাগরিকের, যাদের কষ্টের কোন শেষ নেই। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও কিছু দায়িত্বশীল অসাধু বাজার মনিটরিং ব্যক্তিদের যোগসাজশে অভয়নগর উপজেলার বাজার গুলোতে দ্রব্যমূল্য এখন হযবরল অবস্থা বিরাজ করলেও দামের লাগাম টেনে ধরার কোন ব্যবস্থা হবে বলে একাধিক নিন্ম আয়ের মানুষ সন্দিহান। তাই তারা জীবন আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে বোবা কান্না করে চলেছে।
অন্যদিকে উপজেলা বাজার মনিটরিং বিষয়ে নাগরিক সমাজ মনে করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কর্তা ব্যক্তিরা হয়তো ঘুমিয়ে আছে। সাধারণ জনগণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোয়া হওয়ার কারণে সরকারকে দোষারোপ করে বিলাপ করতে থাকলেও কারো কিছু যায় আসেনা। সচেতন মহল জরুরি ভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারসহ অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য অভয়নগর উপজেলা প্রসাশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন।
এবিষয় অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ জানান, দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন নির্দেশনা নেই। কেউ যদি অভিযোগ করে তবে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো, এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় । তবে বাজার মনিটরিং কমিটি প্রতি মাসে মিটিং করে থাকে। গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম আবু নওশাদ বলেন আমরা নিয়মিত বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে থাকি এবং অভিযান সব সময় অব্যহত আছে।