মোঃ আল-ইমরান শেখ সাতক্ষীরা থেকেঃ সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী গ্রামের নুর ইসলাম মোড়লের ছেলে হযরত মোড়ল দিনের পর দিন বিভিন্ন মানুষের ষড়যন্ত্রমূলক একাধিক ধর্ষণ মামলার সাক্ষী হয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তবে হযরত মোড়লের এই মিথ্যা সাক্ষী যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আর তার এই মিথ্যা কুকর্মের মূল বৃক্ষ হিসেবে ছায়া দিয়ে আসছেন কৈখালীর চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোষর দেহ ব্যবসায়ী বহু ধর্ষণ সহ নানা ধরনের মিথ্যা মামলার কারিগর পশ্চিম কৈখালী গ্রামের জয়নাল সরদারের মেয়ে শাহানারা খাতুন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর চাঁদাবাজির কবলে যাদের ব্যবহার করতে অক্ষম তাদের প্রতি উৎসাহী হয়ে বিভিন্ন জেলা উপজেলার নষ্ট চরিত্রের দেহ ব্যবসায়ী মহিলাদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে এই ধর্ষণ খ্যাত শাহানারা ও হযরত মোড়ল।
উল্লেখ্য শাহানারা একাধিক মিথ্যা মামলার নিজেই বাদী এছাড়া তিনি পতিতাবৃত্তি করা কালীন পলাশপুল পার্সপোর্ট অফিসের উত্তর পাশে দুই নম্বর গলির ভিতরে জনৈক পাভেল রহমানের বিল্ডিং এর নিচ তলায় দেহব্যবসা চলাকালীন সাতক্ষীরা সদরথানার তৎকালীন এসআই হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে আটক হয় এবং পতিতাবৃত্তের দায়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে,যাহার মামলার জি-আর নম্বর ৫৯৩/২০ তাং ১৫ আগস্ট ২০২০ সালে।
শাহানারা আওয়ামীলীগের আমল থেকেই বহু সম্মানী ব্যক্তি ও বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানারকম পরিকল্পনা করে নারীপাচার হত্যা মামলা সহ ধর্ষণের মত জগন্য মামলা দিয়ে মোটা অংকের টাকা লুটে নেন।এমনকি শাহানারা তার আপন মামা নজরুল তরফদার কেও মিথ্যা পাচার মামলা দিয়ে মোটা অংকের অর্থ লুটে নেন।
শাহানারার জন্মস্থান কৈখালীর অনেক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক প্রতিবেশী প্রতিবেদককে জানান, হযরত ও শাহানারা বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় সাধারণ দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে ব্যর্থ হলে আদলতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে আর মিথ্যা সাক্ষী হিসেবে সহযোগিতা করেন হযরত।
সর্বশেষ যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার দেহব্যবসায়ী মিতু নামে এক মহিলাকে দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আদলতে মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নম্বর ৬৪৪/২৪ আর এই মামলায় ও হযরত থাকেন ২ নং সাক্ষী। তবে মজার বিষয় হলো মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে শাহানারা ও হযরতের মাঝে ভাগাভাগি নিয়ে হয় বাকবিতন্ডা আর তারই প্রেক্ষিতে শাহানারা বাদী হয়ে হযরতের নামে ধর্ষণ মামলা ও করেন,দীর্ঘদিন পরে একপর্যায়ে আপোষ করে আবার ও তারা একসাথে মিলে আবার ও রমরমা মিথ্যা মামলা নিয়ে ব্যবসা করতে নেমে পড়েন।
রহস্যজনক হলে ও সত্যি শাহানারা ও হযরতের কুকর্ম নিয়ে কেউ মুখ খুললেই সে মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে যায়, যার কারণে কেউ সমাজে মুখ খুলতে ভয় পাই, এ যেন দেখার কেউ নেই, স্থানীয় থানা পুলিশ শাহানারার যেন পূর্ব পরিচিতি তার কাছে থানা পুলিশ মামা-খালু।
সাতক্ষীরা শ্যামনগরে সাধারণত হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় বেশিই। সবার পক্ষে উচ্চ আদালতে যাওয়া সম্ভব হয় না। নানা প্রতিকূলতার কারণে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় পাল্টা মামলা করাও সম্ভব হয় না। এ অবস্থায় কেবল সংশ্লিষ্ট আদালতই পারেন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। আদালতগুলো যদি সতর্কতার সঙ্গে নিয়মিতভাবে এ কাজটি করতেন, তাহলে একদিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষতিপূরণ পেতেন, আরেক দিকে মামলাজটও কমত। পাশাপাশি প্রশাসনের ভূমিকা ও জুরুরি।#