ক্যাপশন: চুরি হওয়া পুকুরে মাছ নেই, উদ্ধার করা হয়েছে ভাসমান কিছু মরা মাছ। ছবি নিজস্ব
মোঃ আতিকুল ইসলাম আতিক, পুঠিয়া, রাজশাহী………………………………………
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে পুকুরে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন ও চুরি অভিযোগ উঠেছে। গত (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কে বা কারা সৈয়দপুর বিলের এক পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন ও ডাকাতির ওই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মোঃ ইউনুছ আলী (এবাদুল) এর পুকুরে রাতের আধারে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের সব মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় ইউনুস আলী (এবাদুল) সকালবেলা তার পুকুরে গেলে দেখতে পায় যে, পুকুরে কিছু মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে ধারণা করা হয়েছে যে পারার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। পরে জেলে ডেকে পুকুরে মাছ ধরার জন্য নামালে, পুকুরে কোনো তাজা মাছ পাওয়া যায়নি। অল্প কিছু মরা মাছ পাওয়া গেছে। এতে করে এবাদুল দিশেহারা হয়ে পড়ে। তিনি অনেক ঋণ করে এই মাছ চাষ করেছিলেন।
এক অনুসন্ধানে জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলায় একটি নতুন ধরণের অপরাধ সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সেই সিন্ডিকেটের কাজ রাতের বেলা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সেই পুকুরের সকল মাছ রাতের আঁধারে তুলে নেওয়া। ধারণা করা হচ্ছে কিশোর গ্যাং বাহিনীর মতো, এই মাছ চুরির বাহিনীরাও সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক ভয়ংকর হয়ে উঠছে। আর এটা খুব স্বাভাবিকভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কিছুদিন আগে, একই উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের মধ্যে এই ধরণের ঘটনা ঘটে এছাড়াও উপজেলার বারোপাখিয়া বিলে কামাল হোসেন এর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে একই ভাবে মাছ ডাকাতি বা চুরির মত ঘটনা ঘটে। সেই পুকুরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ ছিল বলে দাবি করেছিলেন সে সময় কামাল হোসেন। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষসহ এলাকার মানুষেরা মনে করছেন খুব দ্রুত অপরাধ সিন্ডিকেটের এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে মাছ চাষীদের কপালে আরো অনেক বিপদ রয়েছে। এছাড়াও আতঙ্কের মধ্যেও রয়েছেন মৎস্য চাষীরা।
এবাদুল দিশেহারা হয়ে বলেন, কিভাবে এই ক্ষতিপূরণ কাটিয়ে উঠবো এবং ঋণের টাকা পরিশোধ করবো। আমার জীবনের জমানো সম্পদ বলতে এই পুকুরের মাছ। ভেবেছিলাম অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাছগুলো বিক্রি করে আমি আমার ঋণ পরিশোধ করব। পুকুরে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ টাকার মাছ তৈরি হয়েছিল। আমার জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
মাছ চোরের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা একটি অভিযোগ করা হয়েছে এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেনএর কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরকে জানান, বিষয়টি মাছ চাষিরা আমাকে অবগত করেছেন। আমি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। #