বিশেষ প্রতিনিধি……………………………………………..
বিএনপির অপচেষ্টা টোটালি ফ্লপ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে পারেনি। কারণ তাদের সেই শক্তিই নেই যে, তারা আন্দোলন করে, লড়াই করে জায়গাটি নিবে। শুধু শুধু তাদের মুখের আওয়াজ ছিল। পরে ঢাকা শহরের এক কোণায় তারা সমাবেশ করছে। ঢাকা হিসেবে খুবই ছোট একটা সমাবেশ। বিএনপির অপচেষ্টা টোটালি ফ্লপ করেছে এবং এটি যে ফ্লপ করবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ আগে থেকে ছিল না। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম দেখবার জন্যে, আজকে তাই দেখছি।
শনিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি বলছে, কেয়ারটেকার সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। অযৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা আন্দোলন করবে। আন্দোলন না মানলে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে , নির্বাচন হতে দিবে না অথাৎ তারা অরাজকতার পথে যাবে- যেপথে তাদের সৃষ্টি। তারই অংশ হিসেবে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের পর আজ ঢাকা সমাবেশ করছে বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে বিএনপি প্রচার করেছিল, বহু কথা বলেছিল যে, ‘তারা ক্ষমতা নিবে, তাদের কথামতো দেশ চলবে’ ইত্যাদি। বিএনপির সেই অপচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে সেনা ছাউনি থেকে এবং নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের পথ বেয়েই তারা ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছিল। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া একটা সময়ে আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে উৎখাত করে একবারে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। অনেককেই হত্যা করেছে, আহত করেছে, অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। সেই রকম একটি দলের কাছ থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি না। এ পর্যন্ত বিএনপি যতদিন ক্ষমতায় ছিল, তাদের সময়ে বিএনপি একটি কাজও দেখাতে পারবে না, যা জনগণের কল্যান হয়েছে বা যার সুফল পাচ্ছে জনগণ। সেই বিএনপি দীর্ঘদিন বিএনপি ক্ষমতার বাইরে, কারণ জনগণ তাদের প্রত্যাখান করেছে এবং কখনো তারা ভ্রান্ত রাজনৈতিক চেতনায় ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচন বর্জন করেছে, আগুন সন্ত্রাস করেছে।
জনগণের নিরাপত্তায় আওয়ামী লীগ মাঠে আছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জনগণ রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পরিস্কার নিদের্শনা দিয়েছেন। ঢাকা শহরের রাজপথ, অলি-গলি সহ সর্বত্র আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে আছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের আর কোন সুযোগ নেই। বিশে^র উন্নত দেশে যেভাবে ক্ষমতাশীন সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, সেইভাবে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে আজ উন্নয়ন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ যখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশের অগ্রযাত্রাকে রুখতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে বিএনপি। বিএনপির চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র কোন দিন সফল হবে না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ রুখতে পারবে না।
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আসতে থাকেন।
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থানে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ , শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সদস্য আব্দুল আওয়াল শামীম সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।#