নাজিম হাসান,রাজশাহী ……………………………………..
রাজশাহী জেলাজুড়ে এখন শুধু ক্যাবল নেটওয়াকের মাধ্যমে ছেয়ে গেছে কোলকাতার বাংলা সিরিয়ালগুলো। একবেলা না খেলে চলবে, একদিন কাজ না করলে দিন পার হবে। কিন্তু কোনো মতেই ছাড় দিতে রাজি না ভারতের কোলকাতার বাংলা সিরিয়ালগুলো দেখতে দর্শকদের। শুধু গ্রামগঞ্জে বধূরাই নয় জড়িয়ে পড়েছে শহরের সব শ্রেণিপেশার মানুষ থেকে শুরু করে শিশুরা পর্যন্ত। ফলে পরিস্থিতি এতোটাই ভয়ানক হয়ে পড়েছে যে এখান থেকে ইচ্ছে করলেও বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই গৃহবধূদের। এতে করে ভুলে গেছেন গ্রামীণ বধূরা নৈতিকতার সংস্কৃতি দেখা।
গৃহবধূদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় কলকাতার চ্যানেল বাংলা স্টার জলসা,জি বাংলা, আকাশবার্তা, রুপসী বাংলা, এস-আর্ট, সান বাংলা, কাক্রাই এর্লাটসহ বেশ কিছু চ্যানেল দেখায় বাংলা সিরিয়ালে। আর এ সিরিয়ালগুলো দেখতে উন্মাদ হয়ে পড়েন গ্রামীণ বধূরা। তাদের দেখাদেখি বাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়ে স্বামী থেকে শুরু করে সবাই এক সঙ্গে দেখছেন এসব সিরিয়ালগুলো। চ্যানেল গুলোতে সংসার জীবন ও প্রেমপ্রীতির এক অপরূপ কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে তৈরি হয় সিরিয়ালগুলো। কাল্পনিক হলেও দক্ষ অভিনেতারা বাস্তবরূপ দিয়ে ফেলেছেন। তাই গৃহবধরা বলছে সব কিছু ছাড়া যেতে পারে কিন্তু সিরিয়াল গুলো কোনো মতেই ছাড়া যাবে না।
বাজার ঘাট থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে চা’র স্টলে চলছে টিভি সিরিয়ালের হিড়িক। আদালতের নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও কোনো গুরুত্ব নেই এই সবের উপর। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, তরুণ-যুবক, বয়স্করা হুমড়ে খেয়ে পড়ে দেখছেন এসব সিরিয়ালগুলো। সিরিয়ালের প্রধান চরিত্রের নায়ক, নায়ীকাদের পোশাক-পরিচ্ছেদ এমনকি বই, খাতা, কলমে ছেয়ে গেছে বাজার ঘাট।
বাগমারা তাহেরপুর গৌসভা এলাকার গৃহবধূ লাভলী বেগম নামের এক গৃহবধু জানান, কোলকাতার সিরিয়ালগুলো জীবন সংসারের সাথে হুবহু মিল রয়েছে। আর সেজন্যেই সিরিয়ালগুলো দেখতে খুব মজা লাগে। এক বেলা ভাত না পেলেও যেন সিরিয়ালের এক পর্ব ছাড়া যাবে না বলে জানান তিনি।#