1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
রূপসায় অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ কোয়াটার ফাইনাল অনুষ্ঠিত রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন শরীফ উদ্দিন প্রবীন বিএনপি নেতাদের মনোনয়ন দেয়ায় নির্বাচনী এলাকায় নতুন করে স্বস্তি: সিরাজুল ইসলাম সরদার শিবগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে জামাতের মতবিনিময় সভা  চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র অভিযান, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন (১৪ বিজিবি)র তল্লাশি অভিযান পত্নীতলায় সাংবাদিকের ওপর হামলা: দুই ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন: বিএনপির রাজনীতি, ভূ-রাজনীতি ও রাষ্ট্র সংস্কারের সমীকরণ ​ আত্রাইয়ে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীত, খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আত্রাইয়ে উপজেলা বিএনপির আনন্দ মিছিল

তানোরে ঝড় বৃষ্টিতে ঘরে তোলার আগেই নুয়ে পড়েছে ধানগাছ: দিশেহারা কৃষক

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: বৈরী আবহাওয়া, ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাজশাহীর তানোরে আমন মৌসুমের পাকা ধানগাছ নুয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজি ও অন্যান্য রবি ফসল। ফলে মাঠে মাঠে এখন দিশেহারা কৃষক।

শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে হঠাৎ শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে অনেক আমনক্ষেতের পাকা ও আধা-পাকা ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে আগাম বাঁধাকপি, মুলা, ফুলকপি, লাউ ও টমেটো খেতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, ঘরে তোলার ঠিক আগমুহূর্তে ধানগাছ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ধান পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় ইতিমধ্যে পোকামাকড়ের আক্রমণও দেখা দিয়েছে। কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষক সুমন আলী বলেন, গত দুই দিন ধরে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এখন ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। একই এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর ধানের দাম না পেয়ে হতাশ হয়েছিলাম। এবার কিছুটা আশায় ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় সব ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।

বাধাইড় ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন,ঝড় ও বৃষ্টির কারনে আমার দুই বিঘা জমির ধান একেবারে শেষ হয়ে গেছে। কৃষক আয়ুব আলী ও আব্দুল আলী জানান, আগে এক একর জমিতে প্রায় ৫০ মণ ধান পাওয়া যেত। এবার হয়তো ৩০ মণও মিলবে না। অনেক এলাকায় শিব নদীর পাড় ও নিচু জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে তানোর উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাত ২৮ হেক্টর, উফশী জাত ২২ হাজার ১১৭ হেক্টর এবং দেশি জাতের ধান চাষ হয়েছে ৫৫০ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬০ হাজার ২৯৮ মেট্রিক টন।

উপজেলার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত স্বশিক্ষিত কৃষি বিজ্ঞানী নূর মোহাম্মদ বলেন, রোপা আমনের শুরুতেই কৃষকরা বৃষ্টি ও সার-সিন্ডিকেটের সমস্যায় ভুগেছেন। এখন মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসে ঝড়-বৃষ্টিতে ধান নুয়ে পড়ায় উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল গ্রহণ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট