
# মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর নাটোর: নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অবস্হানরত ভেল্লাবাড়িয়া আব্দুল ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নায়েব উদ্দিনের দীর্ঘ দিনের গোতাগুতিতে অধপতনে ঐ বিদ্যালয়টির কোমলমতি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এদিকে বিষয়গুলো জেনেও না জানার ভান ধরে সরকারী টাকা/বেতন ভাতা গলার্ধকরন করে আসছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার(২৮শে অক্টোবর-২৫)সকালে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদীন ধরে ২ প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্ব।পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই অফিসরুম সহ মাত্র ৭/৮ টি রয়েছে, শিক্ষকের অভাব,বর্তমানে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতা বলে রয়েছে ২ জন শিক্ষক (নিয়োগ ছাড়া), কম্পিউটার শিক্ষক রয়েছে তবে কম্পিউটার টাইপ করতেই পারেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। লাইব্রেরি পোষ্টে নিয়োগ আছে কিন্তু লাইব্রেরির কোন গন্ধই মিলেনি।এসব বিষয় তুলে ধরে বিদ্যালয়টির ছাত্র/ছাত্রীর বেশ কয়েকজন অভিভাবক সংবাদকর্মীদের নিকট দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমরা এই বিদ্যালয় ছেলে মেয়ে দিয়ে অনেক ভুল করেছি। অন্য স্কুলে পড়ালে লেখাপড়ার মান উন্নত হতো।এ বছর পরে আগামী বছর অন্য স্কুলে ভর্তি করাবো বলেও জানিয়েছেন অনেক অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা বলেন, আমাদের ইংরেজি শিক্ষক আব্দুর রশিদ অবসরে গেছে এখন ইংরেজি শিক্ষক নেই,গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক নায়েব উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়ে আজ রাজাশাহী, কাল ঢাকা,পরশু নাটোর এভাবে দৌড়ে বেড়ায় আামাদের কোন ক্লাস নেয় না।আমাদের পাঠদানে আমরা অনেক পিছিয়ে।আমরা ভালো রেজাল্ট করতে পারবোনা।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সংবাদ কর্মীদের বলেন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। আমি আদালতের দারস্থ হয়েছি।আমি আইনের মাধ্যমে স্কুলে উঠতে পারলে সকল সমস্যার সমাধান করতে চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন নায়েব উদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার কোন যোগ্যতা নেই, সে একজন জুনিয়র শিক্ষক।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নায়েব উদ্দিন সংবাদকর্মীদের বলেন, এনামুল হক দুর্নীতিবাজ, তাই তাকে শিক্ষা দপ্তর থেকে সরিয়ে শিক্ষা বোর্ড আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আইনি জটিলতার কারনে শিক্ষক চাহিদা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষক চাহিদা দিব।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে একাধিকার কল দিলেও সে কল রিসিভ করেননি।#