1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘা উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে বিদায়ী ও নবাগত অফিসারকে সংবর্ধনা রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত দোভাষীর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব  পদ্মায় মাছ না ধরে ২৫ কেজি চালে  জীবন চলেনা ঃ ১৬দিনে ৩ কেজি ইলিশ-৪হাজার মিটার জাল জব্দ রূপসায় উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি পদে পরিবর্তন, আশরাফুলের বদলে শেখ আবু মাসুম রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৩য় খেলা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইমদাদুল হক চ্যানেল এস টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নওগাঁ অঞ্চলে  নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে

ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব 

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
৥ মো: আসাদুজ্জামান আসাদ,  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবারও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুক নদীর বুড়ির বাঁধে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছেন হাজারো মানুষ।  শুক্রবার  সন্ধ্যায় বাঁধের গেট ছাড়ার পর রাত ৮টা থেকে মাছ ধরতে নামেন তারা। গতকাল শনিবার ও আজ রোববার সারা দিন সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত রাত পর্যন্ত চলছে মাছ ধরার উৎসব।
অনেক রাত অবধি চলে মাছ ধরার উৎসব। ছপ ছপ জালের শন্দে মুখরিত ছিল যেন গোটা বুড়ির বাঁধ এলাকা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মাছ ধরা উৎসব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাছ ধরছেন। তবে কেউ যাতে অভয়াশ্রমে মাছ না ধরে সে বিষয়ে তৎপর আছে মৎস্য বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)।
সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি থেকে আসা মনোয়ার হোসেন ও আফজাল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবারই এখানে মাছ ধরতে আসি। বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মানুষ মাছ ধরতে আসেন। সবাই মিলে মাছ ধরতে খুব ভালো লাগে। এটা আজকের দিনে একটা মেলায় পরিণত হয়েছে।
বালীয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল গ্রাম থেকে আসা রথিন্দ্র ও যতি মোহন বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জাল দিয়ে মাছ মারছি। গতবার অনেক মাছ পেয়েছিলাম। এবারে তেমন মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। রিং জাল ব্যবহারের কারণে এবার মাছ কমেছে গেছে। আর মাছ কম পাওয়ায় মৎসজীবি, জেলে ও মৎস্য প্রেমিরা হতাশা প্রকাশ করছেন।
মাছ ধরতে আসা স্থানীয় স্কুল শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোরে মাছ ধরতে এসেছি। মূলত আনন্দ-উল্লাসের জন্য প্রতিবার আমি আসি। আজ রোববারও এসে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মাছ ধরেছি। পুঁটি, ষোল, শিংসহ প্রায় তিন কেজি দেশি মাছ পেয়েছি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল বারী বলেন, ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ির বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। প্রতিবছর বাঁধের
গেট ছাড়ার পর এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। সবাই মিলে মাছ ধরেন। এর মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারো মাছ ধরা উৎসব শুরু হয়েছে। কেউ যাতে অভয়াশ্রমে মাছ না ধরে সে বিষয়ে তৎপর আছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা মানুষরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাছ ধরছেন। এই উৎসব ধরে রাখতে প্রতি বছর এই বুড়ির বাঁধ বিলের এলাকায় মাছ ছাড়ে মৎস অধিদপ্তর, ঠাকুরগাঁও বলেও জানান তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল ও ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাতেই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। মাছ ধরা দেখতে বাঁধের পাড়ে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এমন দৃশ্য গ্রাম-বাংলার চিরচেনা রূপের কথা মনে করিয়ে দেয়।
 ১৯৫১-৫২ সালের দিকে বুড়ির বাঁধ সেচ প্রকল্পটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধটির সামনে একটি অভয়াশ্রম আছে। কেউ যাতে অভয়াশ্রমে মাছ না ধরে সে বিষয়ে প্রশাসন তৎপরতা থাকলেও অবহেলা ও দায়িত্ব হীনতা এবং অনিয়মেরও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
বুড়ির বাঁধ এলাকায় মাছ ছাড়ে মৎস অধিদপ্তর, ঠাকুরগাঁও। তাছাড়া স্হানীয়রাও অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মাছ ছাড়েন এখানে। মাছ ছাড়ে উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদও। তবে  বিগত ২/৩ বছর ধরে কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলার জেলে, মৎস্যজীবি ও মৎস্যপ্রেমিরা। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অবহেলা ও ভালো দেখা শোনা না করার কারণে মাছে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা জানান, মাছ ধরার উৎসবটি ঐতিহ্যবাহী ও সার্বজনীন। এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ অংশ নেন। আর বাঁধের মাছ চাষে  অবহেলা ও দায়িত্ব হীনতা নয়, তবে কিছুটা সমন্বয়হীনতা রয়েছে। একই স্থানে একাধিক দেখাশোনার পরিষদের ও মানুষের কারণে কিছু টা সমস্যা হয়। তবে এ সমস্যার সমাধান করে এই বুড়ির বাঁধে আবার দেশী জাতের মাছের চাষ ও অভয়াশ্রম করার মাধ্যমে সকলের সহযোগিতায় বুড়ির বাঁধের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে ইনশাআল্লাহ বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বাঁধের গেট ছাড়ার পর এখানে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে। সবাই মিলে মাছ ধরেন। এর মাধ্যমে আমিষের চাহিদা পূরণ হয়।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট