# মমিনুল ইসলাম মুন বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে …………………………
রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপির আইওরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫টি পদে জনবল নিয়োগে প্রায় অর্ধকোটি টাকা বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে নিজেদের পচ্ছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়ে এই বাণিজ্য করেছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই অভিযোগের সত্যতা পাওযা যাবে বলে তারা মনে করছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে, বিরাজ করছে উত্তেজনা। এদিকে গোপণে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্তদের (বৈধতা) এমপিভুক্তকরণ পুর্বে সরেজমিন তদন্তপুর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্প্রতিবার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষর সংবলিত লিখিত অভিযোগ ডাকযোগে চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), রাজশাহী বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা, নওগাঁ অতিঃ জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সভাপতি ইসাহাক আলী ও প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা গোপণে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। এরই অংশ হিসেবে ২০২২ সালের ১ জুলাই একটি জাতীয় ও একটি আঞ্চলিক দুটি অপ্রচলিত পত্রিকায় আইওরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর শূণ্য পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ওই দিনের এসব পত্রিকা সভাপতি-প্রধান শিক্ষক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখেন। এছাড়াও এসব পত্রিকা তানোর-মান্দা, নিয়ামতপুর-নাচোল এলাকায় আসে না। ওদিকে এলাকার চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদনের জন্য বিদ্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরলেও তাদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা জানানো হয়নি। আবার অনেককে অন্য পত্রিকার নাম বলা হয়েছে। ফলে তাদের পচ্ছন্দের প্রার্থী ব্যতিত অন্য কেউ আবেদন করতে পারেনি। পাঁচটি পদের প্রতিটিতে ৪ জন করে মোট ২০ জনের আবেদন দেখানো হয়। যাদের মধ্য ১৫ জন ছিল ডামী প্রার্থী। অনুসন্ধান করলে সত্যতা পাওয়া যাবে নিশ্চিত।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, আগষ্টের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করেই তারা জানতে পারে স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষা হচ্ছে। স্কুলে গিয়ে দেখেন এ সময় ডিজির প্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অফিসে বসে খোশগল্পে সময় অতিবাহিত করেছেন। তারা বলেন, পরীক্ষার আগের রাতে স্কুলে যাদের সঙ্গে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বৈঠক হয়েছিল পরের দিন কাকতালীয় ভাবে তারাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সবাই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এতে বোঝা যায় নিয়োগে অনিয়ম করা হয়েছে। তারা নিয়োগ বাতিল করে স্বচ্ছতার সঙ্গে পুনরায় দিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আইওরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানা বলেন, নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়, খুব বেশী আত্মীয়করন বা স্বজনপ্রীতি হয়েছে এটা বলতে পারেন। এবিষয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ইসাহাক আলী বলেন, এমপি কে অবগত করে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়োগে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি, তবে কিছু স্বজনপ্রীতি হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম শেখ বলেন, নিয়োগ কিভাবে হয় সেটা আপনারাও (সাংবাদিক) জানেন, এসব প্রশ্ন করে বিব্রত না করাই ভাল। তবে যদি অনিয়মের কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#