নিজেস্ব প্রতিনিধি, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারায় সরকারি পুকুর বৈধভাবে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মুন্সি জহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম শামীম। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার ছোট ভাই সদ্য বিএনপি হতে বহিস্কৃত আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডিএম শাফিকুল ইসলাম শাফি ও তাদের অনুসারী রক্ষিতপাড়া গ্রামের কেরামতুল্লাহ এর ছেলে আব্দুস সালাম লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক ওই পুকুর দখল করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এই ঘটনায় লীজ গ্রহীতা আউচপাড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হালিম শামিম সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪-২৬ অর্থবছরের জন্য আউচপাড়া ইউনিয়নের ৩৭৬ নম্বর ইন্দ্রপুর মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নামে বৈধ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য ইজারা নবায়ন করা হয়। কিন্তু গত ১০ আগষ্ট, ২০২৪ ইং তারিখে উল্লেখিত বিবাদীগণ জোর পূর্বক উক্ত পুকুরটি দখল করে নেয়। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নেতা জিয়া-শাফি দুই ভাইসহ একই গ্রামের (রক্ষিতপাড়া) তাদের অনুসারী আব্দুস সালাম দখল করে নিয়েছে।
অভিযোগকারী দাবি করেন, “আমরা সরকারের নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী ইজারা নিয়েছি। অথচ জোরপূর্বক দখল নিয়ে আমাদের প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ জোর পূর্বক ধরে বিক্রি করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে তারা তাদের নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। আমরা পুকুর ভোগ দখলে গেলে মারধর করবে বলে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের ৩৮/৮৬ ভিপি, মৌজা ইন্দ্রপুর, জেএল নং-২৭ আরএস ১ ও ৪ নং খতিয়ানভুক্ত চারটি দাগে রকম পুকুর, জমির পরিমাণ ২ একর ৬৫ শতক জমি ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম শামীম ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ কোনো তোয়াক্কা না করে তাদের ক্ষমতার দাপটে দখলে নিয়েছে।
শামীম বলেন, অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে পুকুরটি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জানা যায়, ডিএম জিয়াউর রহমান জিয়া বর্তমানে বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। অপরদিকে ডিএম শাফিকুল ইসলাম শাফি ৫ নং আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি ছিলেন। কিছু দিন আগে খাদ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে দখলবাজি ও নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের ছত্রছায়ায় তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরাও বিভিন্ন কার্যকলাপ ও দখলবাজিতে লিপ্ত। এতে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও দলীয় উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।#