1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
এসআই কাওসারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে, এলাকাবাসীর দাবি নওগাঁর বদলগাছীতে সরকারি রাস্তার প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী সুন্দরবনের অভয়ারণ্য থেকে ৪ জেলে আটক সাতক্ষীরায় জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত রুয়েটে ক্লাস করতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ রাজশাহী মহানগরীর মাদক হটস্পটে র‍্যাবের অভিযান, ১৩ জন গ্রেফতার, গাঁজা উদ্ধার গোদাগাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সার ডিলারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোলে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ এর  শুভ উদ্বোধন সারিয়াকান্দিতে স্কুল পরিদর্শনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম পলাশ বাঘায় আনসার-ভিডিপির দলনেতার বৃক্ষ রোপণ-চারা বিতরণ

তানোরে ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ কেলেঙ্কারি: অভিযোগের এক মাসেও প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা নেই!

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার ২ নম্বর বাধাইড় ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুস্থ মানুষকে ভুয়া প্রতিবন্ধী সাজিয়ে সরকারি ভাতা আত্মসাতের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পলি আক্তারের নাম উঠে এসেছে। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে সচেতন নাগরিক সাদিউর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম নিজের সুস্থ পিতা নুরুল ইসলাম, মা জাহানারা বেগম ও স্ত্রী পলি আক্তারকে প্রতিবন্ধী দেখিয়ে সনদ সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া অন্তত ১৭ জন নামীয় ও আরও ১০–১৫ জন সুস্থ ব্যক্তি একইভাবে ভুয়া সনদ নিয়ে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০০–৭০০০ টাকা উৎকোচ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। এমনকি একজন প্রকৃত শারীরিক প্রতিবন্ধী দরিদ্র ব্যক্তি সুশীলের কাছ থেকেও ৫০০০ টাকা দাবি করা হয়। তিনি ৪০০০ টাকা দেওয়ার পরও সনদ পাননি। অথচ সুস্থ-সবল ব্যক্তিরাই নিয়মিত ভাতা ভোগ করছেন।

প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ অভিযোগ জমা দেওয়ার পরও এক মাসের বেশি সময় ধরে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, “এমন জঘন্য দুর্নীতির প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন এখনো নীরব? তদন্ত কি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লম্বা করা হচ্ছে?”

তানোর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বলেন, “অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএন ও লিয়াকত সালমান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন—“অভিযোগ প্রমাণে কত সময় লাগে? এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া মানে কি প্রশাসন প্রভাবিত?” অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা ঘুষ নেইনি, সব কিছু নিয়ম মেনেই হয়েছে।”

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর আলম কৃষক লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন, তবুও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি এলাকাবাসী বলছে, প্রকৃত অক্ষম ও দরিদ্র জনগণের প্রাপ্য সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। তাদের দাবি— নতুন করে ইস্যু করা সব ভুয়া প্রতিবন্ধী সনদ বাতিল করতে হবে। দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের নীরবতা ভেঙে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা বলেন, “সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে, অথচ প্রশাসনের ঘুম ভাঙছে না। আমরা চাই অবিলম্বে তদন্ত শেষ করে দায়ীদের শাস্তি দেওয়া হোক।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট