# শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের অন্যতম স্থানীয় সংগঠন সীমান্ত প্রেসক্লাব, ভেটখালী, শ্যামনগর—এর সকল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাবের নেতৃত্বে দায়িত্বে অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা, কার্যক্রমে অচলাবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। এর পরপরই বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এক জরুরি সভায় ক্লাবের সকল কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের লিখিত পদত্যাগপত্র গৃহীত হয় এবং ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সীমান্ত প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সদস্যের লিখিত পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। সভাপতির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের কার্যক্রম স্থবির ও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সংগঠনের প্রতি সদস্যদের আস্থা হারিয়ে গেছে। অতএব, আজ ১৭ জুলাই ২০২৫ থেকে সীমান্ত প্রেসক্লাবের সকল প্রকার কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, একযোগে সদস্যদের পদত্যাগ, নেতৃত্বে অনিয়ম-অবহেলার অভিযোগে আজকের পর থেকে সীমান্ত প্রেসক্লাবের নামে কেউ যদি পরিচয় দেয় বা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কোনো কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করে, তবে তা বেআইনি ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে গণ্য হবে। এরূপ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে যথাযথ অবহিত করা হয়েছে।
সদস্যদের অভিযোগ অনুযায়ী, প্রেসক্লাবের সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, জবাবদিহিহীনতা এবং স্বচ্ছতা ছাড়া আর্থিক লেনদেন পরিচালনার মাধ্যমে ক্লাবের শৃঙ্খলা নষ্ট করেছেন। ক্লাব কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ায় বহুদিন ধরেই সভা-সমাবেশ, প্রশিক্ষণ কিংবা সাংবাদিকদের পেশাগত সহযোগিতা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সীমান্ত প্রেসক্লাব একসময় ভেটখালী ও আশপাশের অঞ্চলের সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সাংগঠনিক স্থবিরতা ও নেতৃত্বের ব্যর্থতায় তা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ক্লাবটির পতনকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করলেও, অনেকে মনে করছেন—এটি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার একটি সুযোগ। তাদের মতে, এখন সময় এসেছে একটি সৎ, স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অধীনে নতুন সংগঠন গড়ে তোলার।#