1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
শিবগঞ্জে বন্যা দুর্গত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও নবোদ অর্থ বিতরণ গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যা ও দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে তানোরে মানববন্ধন অপরাধঃ বদরগঞ্জে জোরপূর্ব জমি দখলের চেষ্টা, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে ২ কোটি টাকা মূল্যের কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ র‌্যাব-৫ কর্তৃক চারঘাটে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার পুঠিয়ায় ইউএনও এ. কে. এম. নূর হোসেন নির্ঝরের উদ্যোগে আধুনিক টয়লেট নির্মাণ  সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবু দাশের উদ্যোগে পুঠিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসন দলের হয়ে জনগনের কল্যাণে রাজনীতি করি : চাঁদ রাজশাহী বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান তারেক রহমানের  ধোবাউড়ায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ; গ্রেপ্তার ১

তানোরে সরকারি ওয়েবসাইটগুলোতে পুরোনো তথ্যে ঠাসা জনগণের ভোগান্তি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ১৩৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : প্রতিটি সরকারি অফিসের জন্য তৈরি করা আছে ওয়েবসাইট। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সব কার্যক্রম সম্পর্কে সার্বক্ষণিক আপডেট থাকা এবং জনসাধারণকেও তাৎক্ষণিকভাবে হালনাগাদ তথ্য দেওয়া। অথচ রাজশাহীর তানোর উপজেলায় প্রায় প্রতিটি দপ্তরের অধিকাংশ ওয়েবসাইটই ভুল তথ্যে ভরা, হালনাগাদও হচ্ছে না বছরের পর বছর।

তানোর উপজেলা প্রশাসন, মুন্ডুমালা ও তানোর পৌরসভা সহ সাত ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ের অধিকাংশ ওয়েবসাইটই পুরোনো তথ্যে ঠাসা। একইভাবে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের তানোর উপজেলা পর্যায়ের ওয়েবসাইটগুলোতেও প্রয়োজনীয় তথ্য মিলছে না। এতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন সঠিক তথ্যপ্রাপ্তির ন্যায্য অধিকার থেকে। সরকারি সেবার বিভিন্ন তথ্য সাধারণ মানুষ অবাধে না জানার ফলে মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতিও বাড়ছে। কিছু বিষয় শুধু ইংরেজি ভাষায় তৈরি হওয়ায় অনেক ব্যবহারকারী সহজে ব্যবহার করতে পারছেন না। অথচ বিগত কোভিড-১৯ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ অনলাইনে সক্রিয় হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও অনলাইনে সক্রিয়ভাবে অফিস পরিচালনা করছে।

তানোর উপজেলার সরকারি ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এতে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী যে তথ্যগুলো স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রকাশ করার কথা, সেগুলোই নেই। তাছাড়া দপ্তরের কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য, বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী, উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য, সুবিধাভোগীদের তালিকা এগুলোও নেই অধিকাংশ ওয়েবসাইটে। দীর্ঘদিন ধরে হালনাগাদ হচ্ছে না এসব ওয়েবসাইট। অথচ এগুলো দেখার জন্য এ উপজেলায়ও আইসিটিবিষয়ক একটি কমিটি রয়েছে।

গত ২৪ মে তানোর উপজেলার ওয়েবসাইটে দেখা যায়, তানোর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে নাম রয়েছে তৌহিদুল ইসলাম। অথচ তিনি প্রায় কয়েক বছর আগে এ উপজেলা থেকে বদলি হয়ে চলে গেছেন।

একই অবস্থা, পল্লী বিদ্যুৎ তানোরের ডিজিএম ও এজিএম (ওএন্ডএম), নেসকো তানোর কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী ছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলীর পূর্বের কর্মকর্তাদের নাম ও নম্বর এখনো রয়েছে।

আবার, ওয়েবসাইটে মাসিক সমন্বয় সভা ছাড়াও বিভিন্ন সভার কার্যবিবরণী বিষয়ক বিভাগ আছে। সেখানে এ-সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য নেই। অন্যদিকে, তানোরের দুই পৌরসভা এবং সাত ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটেও পুরাতন ও ভুল তথ্যে ভরপুর।

সংবাদ তৈরির কাজে প্রায়ই সরকারি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের শরণাপন্ন হতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। কিন্তু তানোর উপজেলার তানোর প্রেস ক্লাব ও তানোর উপজেলা প্রেস ক্লাব এবং তানোর মডেল প্রেস ক্লাবের একাধিক গণমাধ্যমকর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারি অনেক ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায় না। প্রতিবেদন তৈরির কাজে প্রায়ই তাদের বিভিন্ন তথ্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে না বলে সংগ্রহ করতে কষ্ট হয়।

তানোর উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আইসিটি-সংক্রান্ত সব কাজই তারা করেন। ওয়েবসাইটের তথ্য হালনাগাদের জন্য দপ্তর প্রধানদের কাছে নিয়মিত তথ্য চান। অনেকে তথ্য দিতে চান না। তথ্য না পেলে তারা নতুন তথ্য আপলোড করতে পারেন না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তানোর উপজেলা প্রশাসনের একাধিক দপ্তর প্রধান বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। এই পদ্ধতি চালু হলে সরকারি ফাইল আর গায়েব হওয়ার সুযোগ থাকবে না, নষ্টও হবে না। শত বছর পরও একটি ফাইল খুঁজে পাওয়া যাবে।

তানোর উপজেলার ইউএনও ও আইসিটিবিষয়ক কমিটির সভাপতি লিয়াকত সালমান ওয়েবসাইট হালনাগাদ না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এই উপজেলায় কয়েক মাস আগে তিনি যোগদান করেছেন। যোগদানের পর থেকেই ওয়েবসাইট হালনাগাদে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। সচেতন না হলে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, তথ্য আপলোডের কাজটি খুবই সহজ। প্রতিটি দপ্তর নিজেই এ কাজ করতে পারে। এরপরও উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী প্রোগ্রামারও আছে। আশা করছি, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তানোর উপজেলার সকল সরকারি অফিসের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য মিলবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট