রাজশাহী প্রতিনিধি:
রবিবার রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটার দুয়ারী গ্রামে মমেলা বেগম (৬৫) নামে এক মহিলা অগ্নিদগ্ধ হয়ে আজ সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রবিবার সকালে মৃত্যু মোমেলা বেগমের স্বামী জাইদুল ইসলাম ঘরে তালা দিয়ে বাড়ির বাইরে চলে যান। বেলা ১০.৩০টার দিকে কে বা কারা মমেলা বেগমের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনার পর রবিবার দুপুরে মোমেলা বেগমের পূর্ব স্বামীর সন্তান গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে- মহিলার বর্তমান স্বামী জাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পবা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে সোমবার ভোর ৪.০০টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে মমেলা বেগমের প্রথম স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়। পরে তিনি ২০০৩ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে দ্বিতীয় স্বামীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর- বয়সের তারতম্য নিয়ে (৪৫/২৫) বর্তমান স্বামী জাইদুল ইসলাম এর সাথে বিয়ে হয়। মমেলার সন্তান ও তার পরিবারের অভিযোগ: বিয়ের পর হতে জাইদুল ইসলাম- মমেলা বেগমের বাড়ির ভিটা/জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ দিতে থাকেন এবং মাঝে মাঝে জ্বালা যন্ত্রণা ও নির্যাতন করতেন। তারই প্রেক্ষিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।
অন্য দিকে জাইদুল ইসলামের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান মমেলা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সকালে জাইদুল বাড়িতে তালা লাগিয়ে প্রতিদিনের মত বাইরে চলে যায়। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
অন্য একজন প্রতিবেশী জানান, মানসিক ভারসাম্য হীনতার কারণে তিনি নিজেই হয়তো তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় মমেলা বেগমের মেয়ে জামাই মোঃ আলিফ হোসেন বাদী হয়ে জাইদুল সহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে পবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, একজনের নামে মামলা হয়েছে- মামলাটি এখনও আমাদের তদন্তধীন আছে। এখনও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা) লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল।#