সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি-
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে দিনে দুপুরে সাবেক চেয়ারম্যানকে কোপানোর ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ হয়েছে।
শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলী আলীকে গত সোমবার ভেটখালী বাজারে একদল সন্ত্রাসী কতৃক দা, কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে যখম করার ঘটনায় মামলা না নেওয়ায় আকবর আলীর ভাগ্নে আসাদুজ্জামান পুলিশের আই জি ও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের নিকটে আজ ইমেলে শ্যামনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমার মামা মোঃ আকবর আলী, সাবেক চেয়ারম্যান, রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদ, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা। উক্ত মামার বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার সোরা গ্রামে এবং তার চিংড়ী ঘেরী কালিঞ্চি গ্রামে। যার কারনে প্রতিনিয়ত তাকে বাড়ি থেকে চিংড়ী ঘেরে যাওয়া লাগে। বাড়ি থেকে চিংড়ী ঘেরিতে যেতে হলে ভেটখালী বাজারের উপর দিয়ে যেতে হয়। ভেটখালী বাজারের পাশে মোঃ শহিদুজ্জামান, পিং- মৃত সুরত আলী একজন সন্ত্রাসী, গুন্ডা। তার গুন্ডা বাহিনী বাজারে চাঁদাবাজী দখলবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে থাকে। তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস করে না। শহিদুজ্জামান এবং তার বাহিনী আমার উক্ত মামার কাছে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবী করে।
শহিদুজ্জামন এবং তার গুন্ডা বাহিনী আমার উক্ত মামার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবীতে গত ইং ২০/০১/২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১.০০ টায় ভেটখালী বাজারে আটকিয়ে ব্যাপক মারপিট করে এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে আমার মামার মাথায় ও সারা শরিরে গুরুত্বর যখম করে। আমার মামা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ ঘটনায় আমি ঐ দিনই শ্যামনগর থানায় এজহার দিলে ওসি মোঃ হুমায়ুন কবির মামলা রুজু না করে আমার মামার উপর হওয়া জুলমকে রাজনৈতিক ঘটনা বলে মামলা কোর্টে যেয়ে করতে বলছেন এবং তিনি আমাদেরকে প্রয়োজনীয় আইনগত সহয়তা করছেন না। সে কারনে মামলা দায়েরের নির্দেশ ও প্রয়োজনীয় আইনগত সহয়তা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কোনো মন্তব্য না করে ফোন কেটে দেন।#