নাজিম হাসান,রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারার সদর ভবানীগঞ্জে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের ৬ নেতাকে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার (২৬ অক্টোবর) গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেেেক গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা,ঝিকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম,উপজেলার সদর ভবানীগঞ্জ পৌরসভার আব্দুস সালাম,হামিরকুৎসা ইউনিয়নের মাঝগ্রাাম গ্রামের রিপন ইসলাম,গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামার জলপাইতলা গ্রামের আতাব উদ্দিন,গণিপুর ইউনিয়নের হাসনিপুর গ্রামের নাইম রহমান,ও একই গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন।
এবিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান,গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতন হয়। ওই আন্দোলন চলাকালে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্র-জনতার ওপর। এই হামলার সময় কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
এছাড়া ওই সময় তাদের হত্যার উদ্দেশে গুলি চালানো হয়। এতে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালামসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ’ নেতাকর্মীর নামে বাগমারা থানায় পৃথকভাবে মোট ছয়টি মামলা দায়ে করা হয়।
এ মামলায় সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মণ্ডল, গোয়ালকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার, শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা ও হামিকুৎসা ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিববার রাতে ছাত্র-জনতার ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় ৫ জন ও অজ্ঞাত মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।#