1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাঘা উপজেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়ে বিদায়ী ও নবাগত অফিসারকে সংবর্ধনা রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে কর্মরত দোভাষীর মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ের বুড়ির বাঁধে চলছে মাছ ধরার উৎসব  পদ্মায় মাছ না ধরে ২৫ কেজি চালে  জীবন চলেনা ঃ ১৬দিনে ৩ কেজি ইলিশ-৪হাজার মিটার জাল জব্দ রূপসায় উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি পদে পরিবর্তন, আশরাফুলের বদলে শেখ আবু মাসুম রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ৩য় খেলা অনুষ্ঠিত রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইমদাদুল হক চ্যানেল এস টিভির রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নওগাঁ অঞ্চলে  নিষিদ্ধ চায়না জালের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলছে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সাথে মতবিনিময় 

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৯৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ শহিদুল্লাহ্ আল আজাদ. খুলনা ব্যুরোঃ খুলনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুুল ইসলাম বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসকল সাবজেক্ট চালু রয়েছে, তার মধ্যে অনেকগুলোই উন্নত বিশ্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায়। গবেষণার মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইতোমধ্যে তাদের সক্ষমতা জানান দিয়েছেন। বিশেষ করে সুন্দরবন ও উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকায় কৃষি উৎপাদনে তাদের গবেষণা অত্যন্ত চমৎকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা হওয়া উচিত জনকল্যাণ ও বাস্তবমুখী। যার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখা যায়। মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারি বেলা ১১টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গবেষণায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিপ্লব এসেছে কৃষিক্ষেত্রে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্যের যে সংকট ও প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, তা দূরীকরণে কৃষিজ পণ্য বিশেষ করে শাক-সবজি, ফলমূল ও মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে। এক্ষেত্রে কৃষিবিজ্ঞানীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম লক্ষ্য নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। এক্ষেত্রে বিগত সরকারের রেখে যাওয়া খোঁড়া অর্থনীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে সরকার সেই পরিস্থিতি সামলে অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

প্রফেসর ড. এম আমিনুুল ইসলাম বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেরাই বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখা এবং উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজ পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে হবে। কারণ, বিদেশে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গেলেও ইংরেজিসহ অন্যান্য ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে করতে হয়। এর পাশাপাশি প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকলেও কর্মক্ষেত্রে এখন সফল হওয়া যায় না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ব্যাপক গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ফান্ড সংগ্রহের আহ্বান জানান। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ এবং বিগত সরকারের সময়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির সমালোচনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। স্বাগত বক্তৃতা করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ নূরুন্নবী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, শিক্ষা ও গবেষণায় সাম্প্রতিক অর্জন তুলে ধরেন দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আশিক উর রহমান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) প্রফেসর ড. এম আমিনুুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে উপাচার্য তাঁকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

এ সময় উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভার মুক্ত আলোচনা পর্বে শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে নানা সংকট ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান কবীর, সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর মোঃ সানাউল ইসলাম, ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন প্রধান কাজী হুমায়ুন কবীর, খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ খসরুল আলম, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ ইয়াছিন আলী, অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রাক্কিবু, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ মতিউল ইসলাম, ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, এনভায়রমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সাঈদা রেহানা, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ, রসায়ন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মহিউদ্দিন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সাফায়েত হোসেন, সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. তারেক বিন সালাম, পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. রিংকু মজুমদার ও ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক রমিজ আফরোজ শাহী।

মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভাগীয় পরিচালকসহ শিক্ষক, কমকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট