পৌষ মাঘে শীত জমে বসে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে। বাড়ি বাড়ি শুরু হয়ে যায় ঢেঁকি কুটা আটা দিয়ে শীত কালিন শীতের পিঠা পুলি তৈরী মেয়ে জামাইকে দাওয়াত দিয়ে শীতের পিঠা না খাওয়ালে যেন বড় একটি কর্মসূচি পালনই হয়না। সকল জামাই মেয়ে শীতের পিঠার দাওয়াতের জন্য শ্বশুর বাড়ির দিকে চাতকের মত চেয়ে থাকে। মেয়েরা বার বার ফোন করে মায়ের কাছে কখন তারা দাওয়াত দিবে। অনেক দিন হলো মায়ের বাড়ি যাওয়া হয়নি। পিঠা খাওয়ার দাওয়াতে কদিনে বেড়িয়ে আসা হবে।আর যাদের মা বাবা নেই তারা নিরবে চোখের জলে বুক ভাসায়। স্বামী
ধনকে চোখে জলে শান্তনা দেয়। তেমনি এক হতভাগী মেয়ে সাকিলা। বাবার বাড়ি সে ভালোই ছিল। দু’বছর হলো বাবা মারা গিয়ে এতিম হয়ে গেছে। দুবোনকে নিয়ে তার মা অতি কষ্টে সংসার চালাই।সাকিলা গ্রামের স্কুলে ক্লাস অষ্টম শ্রেনীতে। এমন সময় তার বিয়ে হয়।এত অল্প বয়সে সে কিছুই বুঝতে পারেনা।তবে তার শ্বাশুড়ি তাকে অনেক ভালোবাসে তাই কিছু বুঝতে দেয়না।এমন কত দুঃখী সংসার যে আছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলের গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় ঢেঁকিতে চলে ধুপ ধাপ আটা কুটার শব্দ। রাতে চলে শীতের পিঠা তৈরির আসর। বাড়ির বারান্দায় বসে মেয়েরা সারা রাত মনের আনন্দে নানা রকম পিঠা পুলি তৈরী করে।তানোর,নাচোল,নিয়ামতপুরের গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে দিনে ঢেঁকিতে আটা কুটা এবং রাতে শীতের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গ্রামের গৃহবধূরা। অনেক দরিদ্র নারীরা সকাল সন্ধ্যায় গ্রামের মোড়ে মোড়ে ধুপির জমজমাট ব্যাবসার পশারী নিয়ে বসে।এদিয়েই চলে তাদের জীবন। বর্তমানে শহরেও এ পেশায় জড়িয়ে ছে শহরের গরীব মেয়েরা।#