মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ই আগস্ট রাজশাহীতে প্রথম শহীদ সাকিব আনজুমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ৭২দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আজ বুধবার সকালে মহানগরীর টিকাপাড়া কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয় এবং বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে একই কবরস্থানে দাফন করা হবে। মৃত্যুর পর ৬ আগস্ট ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার দাফনও হয়ে যায়। পরে এ হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৪২জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করে নিহতের বাবা মাইনুল হক।
শুরুতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় মহানগর ডিবি পুলিশ। মরদেহ উত্তোলনের সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অয়ন ফারহান শামস, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান, পুলিশের সদস্য ও নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অয়ন ফারহান শামস জানান, ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হয়েছিলো, সেই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সহয়োগী সংগঠনের সন্ত্রাসীরা গুলাগুলি করে ছাত্র-জনতাকে আহত করেছিলো। এ ঘটনায় সাকিব আনজুম নিহত হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ ও চিকিৎসক না পাওয়ার কারণে সাকিব আনজুমের মরদেহ সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। সেকারনে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা কবর থেকে মরদেহ তুলতে আদালতে আবেদন করে।
আদালতের নির্দেশ দিলে আজ নিহতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। কোন হত্যা হলে তা প্রমান করতে হলে সুরতহাল রিপোর্ট ও পোস্টমর্টেম করা প্রয়োজন হয়। সেই কারনে সুরতহাল রিপোর্ট করে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।#