বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী-৬ আসনের (বাঘা-চারঘাট) সাবেক এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ আ’লীগের ৩৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনকে আসামী করে বাঘা থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (২৫ আগষ্ট) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মখলেছুর রহমান মুকুল বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।মামলার প্রধান আসামী শাহরিয়ার আলম আড়ানী পৌরসভার চকসিংগা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে। বাদি মখলেছুর রহমান মুকুল বাজুবাঘা নতুন পাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মামলা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি মখলেছুর রহমান মুকুল ৩ আগষ্ট’২০২৪ রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মামলার আসামীরা দেশি-বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০-২৫টি মোটর সাইকেল যোগে মেডিকেল গেটের কাছে পৌছে ১০(দশ) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে সময় চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে মামলায় আসামীদের কয়েকজন প্যান্টের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা বের করে নেন। তার ডাক চিৎকারে আসে পাশের লোকজন আসিলে আসামীরা আওয়ামীলীগ দলের লোক বলিয়া হুমকি দিয়ে বলে, তুই বৈষম্যবিরোদী ছাত্রদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিস। পরে তাকে গুলি করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
মামলার বাদি মখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে থেকে বিবরণ শুনে এবং স্বজনের সাথে আলোচনা করে মামলা করতে বিলম্ব হল । তিনি আসামীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। এ বিষয়ে শাহরিয়ার আলমের মোবাইলে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সরকার পরিবর্তনের পর আ’লীগের অনেক নেতা-কর্মী আতœগোপনে রয়েছেন । তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, এখনও এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ১৪৩/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা রজু করা হয়েছে। (মামলা নম্বর ১১)। আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানান ওসি।#