# বিশেষ প্রতিনিধি, বাঘা, রাজশাহী থকে.ে………………….
রাজশাহীর বাঘায় জহুরুল মন্ডল (৩৪) নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হয়েছিল, শরীরে জড়ানো লোহার তৈরি চেইনে তালা মেরে। এক সপ্তাহ পর তার মরদেহ বাড়িতে ফিরে এলো সেভাবেই।
গত শুক্রবার দাফনও করা হয়েছে শরীরে জড়ানো সেই লোহার তৈরি
চেইনে তালামারা অবস্থায়। বৃহসপতিবার সন্ধ্যার আগে যশোরের শার্শা থানা পুলিশ
পদ্মা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। কাছে থাকা জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে পরিচয় মেলে
তার। মরদেহটি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের
ফজল মন্ডলের ছেলে জহুরুল মন্ডল (৩৪) ।
রোববার (২২ মে) উপজেলা কেশবপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় জহুরুলের সহোদর মেঝ
ভাই ভাই আমিরুল ইসলাম ও সেন্টু আলীর সাথে। তারা জানান, মরদেহটি নদীতে
ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় নদীপাড়ের মানুষ। গত বৃহসপতিবার সন্ধ্যার আগে
যশোরের শার্শা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর, তার কাছে থাকা ব্যাগের
ভেতরে পরিচয় পত্র পায়। সেই পরিচয় পত্রে নাম ঠিকানা দেখে বাঘা থানায় খবর দেয়।
পরে বাঘা থানা পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ
উদ্ধারের কথা জানায়। শুক্রবার তারা ও আরেক সহোদর ৫ নম্বর ভাই শাহারুলসহ কয়েকজন যশোরের শার্শা থানায় গিয়ে লোহার চেইন জড়ানো অবস্থায় দেখে জহুরুলের মরদেহ শনাক্ত করেন। সেখান থেকে মরদেহ বাড়িতে এনে আসর নামাজওে পর জানাযা
সামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন। সংসার জীবনে তার স্ত্রীসহ ২
মেয়ে রয়েছে । ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জহুরুল ছিল ৬ নম্বর। জহুরুল শ্রমিক
হিসেবে কাজ করত।
স্ত্রী রাশিদা জানান, মরদেহ উদ্ধারের ৫দিন আগে আজমির শরীফে যাওয়ার কথা বলে
লোহার তৈরি চেইন শরীরে পরে বাড়ি থেকে বের হয়। সেই চেইনে ৫টি তালা
লাগানো ছিল। লোহার সেই চেইনটির ওজন ছিল প্রায় বিশ কেজি মতো। এর
আগে লোহার সেই চেইন ব্যবহার করেননি। বছর খানেক আগে যশোরে কাজে
গিয়ে একজন পীরের কাছে বায়াত গ্রহ করেছেন বলে তাকে জানিয়েছিলেন
জহুরুল। তবে তার নাম বলতে পারেননি তিনি।
সেন্টু আলী জানান, দাফনের আগে সেই তালা খুলতে পারেননি। কি কারণে সে
মারা যেতে পারে সে সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি জহুরুলের সহোদররা। তবে
কলার ভেলায় চড়ে নদী পার হওয়ার সময় ¯্রােতে ডুবে মারা যেতে পারে বলে ধারনা
তাদের। বাঘা থানা পুলিশ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে
মরদেহ উদ্ধারের কথা জানায়। পরে যশোরের শার্শা থানায় গিয়ে জহুরুলের মরদেহ শনাক্ত করেন।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল করিম বলেন,শার্শা থানা কর্তৃক নাম ঠিকানা
জানার পর বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান মেরাজ আলী
মেরাজ বলেন, মরদেহ সনাক্ত করে বাড়িতে এনে আসর নামাজের পর জানাযা নামাজ
শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরদেহে পচন ধরে গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে
জানান চেয়ারম্যান।#