বিশেষ প্রতিনিধি…………….
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যায় জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বাবুলের রক্তাক্ত ছবি সংবলিত ব্যানারের নীচের দুই পাশে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী ও পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজের ফাঁসি চাই স্লোগানসহ বিভিন্ন শ্লোগানে, মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাবেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু, মুিজবুর রহমান. সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির,বাঘা পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, মনিগ্রাম ইউনিয়ন আ:’লীগের সভাপতি ও ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিপন, যুগ্ম সাধারনণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান স্বদেশসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হাসান,শান্ত সেখ,শিমুল হোসেন বাঁধন আলী ও সাইদুর রহমান।
বক্তারা সরকারের কাছে বাবুল হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। বাবুলের ছেলে আশিক জাভেদ তার বক্তব্য বলেন,আর কোন সন্তানকে যেন পিতার রক্তমাখা ছবি নিয়ে বিচারের জন্য রাজপথে নামতে না হয়। তারা,গত ২২ জুন শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালে হামলা চালিয়ে বাবুলকে কুপিয়ে হত্যার দাবি করেন।
উপস্থিত ছিলেন, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার,আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহীদ,বাউসা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শফিক, উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
জানা যায়,গত ২২ জুন আ’লীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসুচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় উপজেলা পরিষদের ভেতরে নতুন একটি ভবনের সামনে আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। মাথায় গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ জুন আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা যান । সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশতাধিক।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) ও মামলার তদন্ত অফিসার সোয়েব খান বলেন, বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলী ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তার হন আক্কাছসহ ৪জন। আক্কাছকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর পক্ষ থেকেও মামলা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।#