সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধি ও কৃষি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পরিবহনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে রেলওয়ে। এজন্য বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে লাগেজ ভ্যান। এতে সেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আনা নেওয়া সম্ভব হবে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য।
২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বর প্রথম দফায় চীন থেকে আমদানী করা ১০টি নতুন লাগেজ ভ্যান আনা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। এসব ভ্যানের যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হলে সেগুলো যুক্ত হয় রেলবহরে। এরপর আরও চার দফায় চীনের তৈরী মোট ৫০টি নতুন লাগেজ ভ্যান সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। তন্মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যন্ত্রাংশ সংযোজনের কাজ শেষে ইতিমধ্যে ২৮টি ভ্যান হস্তান্তর করা হয়েছে ট্রাফিক বিভাগে। অবশিষ্ট ২২টি ঈদুল আযহার আগে হস্তান্তর করা হবে। এসব ভ্যান বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলে যাত্রিসেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়বে রাজস্ব।
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শেখ হাসানুজ্জামান জানান, কারখানায় নতুন ভ্যান আনার পর সেগুলোতে প্রথমে কমিশনিং (যন্ত্রাংশ সংযোজন), স্ট্যাটিক টেস্ট ও ডায়নামিক টেস্ট করা হয়। এসব পরীক্ষা শেষে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়ে থাকে।
কারখানাটিতে যাত্রিবাহী ও মালবাহী কোচ মেরামত কাজের পাশপাশি বিভিন্ন যন্ত্রাংশও উৎপাদন করা হয়। ওই রুটিন কাজের মধ্যে প্রতি ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীবাহী কোচ মেরামতের কাজ চলে। এরই অংশ হিসেবে এবার ঈদুল আযহার আগে ৭২টি পুরাতন যাত্রিবাহী কোচ মেরামতের কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে ৫৯টি ব্রডগেজ এবং ১৩টি মিটার গেজ কোচ। এসব কোচ মেরামত এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঈদের আগে ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।
হাসানুজ্জামান বলেন, ‘চীন থেকে আমদানি করা ৫০টি লাগেজ ভ্যানের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২৮টি ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২২টিও দ্রুত হস্তান্তর করা হবে’।#