প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহীতে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তাগণ গঙ্গা-পদ্মার পানির নায্য হিস্যা তথা পানির জন্য লড়াইয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তাঁরা বলেন, আজ থেকে ৪৭ বছর আগে মাওলানা ভাসানী যে উপলব্ধির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন আজ তা বাস্তবে ঘটে চলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম বার্ষিকী স্মরণে হেরিটেজ রাজশাহী’র উদ্যোগে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘ফারাক্কা লংমার্চের ঐতিহাসিক পটভূমি ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও চিন্তক অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। হেরিটেজ রাজশাহী’র সভাপতি গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও লেখক সরদার আবদুর রহমান।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক যুগ্ম সচিব ও ও জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল কাসেম, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, প্রফেসর ড. কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. তারেক ফজল, রাজশাহী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. পারভেজ টি. জাহেদী, মাওলানা ভাসানীর পরিবারের সদস্য আজাদ খান ভাসানী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন হেরিটেজ রাজশাহী’র সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান লাভলু। সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।
ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, মাওলানা ভাসানী সেদিন গুরুতর অসুস্থতা নিয়েই এই লংমার্চের নেতৃত্ব দেন জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে। এই নেতৃত্ব আজো দেশপ্রেমিক জনতার জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। সরদার আবদুর রহমান তাঁর প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ বাঁধ ফারাক্কা’ অভিমুখে লাখো জনতার ঐতিহাসিক লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়। আজো এই দিনটি আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের পক্ষে প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
সভায় অতিথিবৃন্দ এ উপলক্ষে প্রকাশিত একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।#