নিজস্ব প্রতিবেদক (লালপুর) নাটোর……………………………….
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের মনিহারপুর- রামকৃষ্ণপুর(এম আর হাইস্কুল)সংলগ্ন মাঠে একই এলাকার অরুণ সরকারের প্রায় ১১ বিঘা জমিতে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ রুহুল আমীনের নেতৃত্বে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে রাতভর পুকুর খনন করে এবং খননকৃত মাটি ট্রাক্টর যোগে এলাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে।সেই সাথে মাটি বাহি ট্রাক্টরের শব্দে স্থানীয় এলাকাবাসী নির্ঘুমে জীবন যাপন করছে বলে সংবাদ কর্মীদের নিকট অভিযোগ জানায়।
এরই ধারাবাহিকতায় সংবাদ কর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পায়। এ বিষয়ে সংবাদ কর্মীরা সেই গ্রাম পুলিশ রুহুল আমীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি ৫-৭ বছর ধরে পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির ব্যাবসা করি।আমি একজন গ্রাম পুলিশ,আমার বিষয়ে প্রশাসন সবকিছুই জানে।এখানেও আমি পুকুর খননের কাগজ পত্র প্রশাসনের নিকট হতে অনুমোদন নিয়ে এসেই কাজ শুরু করেছি। সংবাদ কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন,আমার জেল জরিমানা যত কিছুই হোক না কেন আমি চৌকিদার রুহুলের এই মাটির পয়েন্ট চলবেই বলে সাফ কথা জানিয়ে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় মুরব্বি বলেন,রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটা বাজলেই এখানে চলে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি টানার মহা উৎসব,চলে ভোর বেলা পর্যন্ত।৭-৮ টি ট্রাক্টরের হু হু,ভৌঁ,ভৌঁ শব্দে আমার এলাকার ঘরবাড়ি সহ কেঁপে ওঠে,ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না,মাটি খেকোরা প্রভাবশালী তাই ভয়ে কিছু বলতেও পারি না। তিনি আরও বলেন,মাঝে মাঝে দেখি পুলিশ-প্রশাসনের গাড়িও আসে তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথেই আবার যা তাই।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) শারমিন আখতারকে ভিডিও চিত্র সহ তথ্য দিয়ে অবগত করলে তিনি প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।তবে এখন পর্যন্ত তেমন কোন ব্যবস্থা নেয় নি। জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ সংবাদ কর্মীদের জানান, পুকুর খনন বন্ধে প্রশাসন জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর্থিক জরিমানার সঙ্গে জেল প্রদানও করছেন।এই প্রচেষ্টা চলমান আছে।#