# বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় বিশ্ব মা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন- মায়েরা শক্তি, সমতা ও ত্যাগের মূর্ত প্রতীক। তারা নিঃস্বার্থভাবে প্রতিদিন নিজেদের বিলিয়ে দেয়। তাদের সন্তানদের লালন-পালন, পথ নির্দেশ এবং উত্থানের জন্য তাদের হৃদয় ঢেলে দেয়। একজন মায়ের ভালবাসার কোন সীমা নেই-এটি এমন একটি শক্তি যা সময় এবং স্থানকে অতিক্রম করে, আলোর বাতিঘর, যা আমাদের জীবনের অন্ধকার মুহুর্তগুলির মধ্য দিয়ে পরিচালিত করে। এই পৃথিবীতে প্রবেশ করার মুহূর্ত থেকে, আমাদের মায়েরা আমাদের প্রথম শিক্ষক, সর্বশ্রেষ্ঠ উকিল এবং প্রিয় বন্ধু হয়ে ওঠেন। তাদের সান্তনাদায়ক আলিঙ্গন আমাদের ভয়কে প্রশমিত করে তাদের উৎসাহজনক শব্দগুলি আমাদের আত্মাকে বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের মৃদু নির্দেশনা আমাদের নিজেদের সেরা সংস্করণ হওয়ার পথে পরিচালিত করে।
এটি একর্টি উষ্ণ আলিঙ্গন, একটি সদয় শব্দ, বা একাট আশ্বাসদায়ক হাসির মাধ্যমেই হোক না কেন, মায়েদের ভালবাসা, লালন এবং মূল্যবান যোগ করার একটি অতুলনীয় ক্ষমতা রয়েছে। যারা আমাদের জীবন ও ভালোবাসা উপহার দিয়েছেন। এই বিশেষ দিনে, সেই অসাধারন নারীদের সম্মান ও তাদের সীমাহীন ভক্তি, অন্তহীন আত্মত্যাগ এবং আমাদের জীবনে তাদের অটল উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে র্যালী- আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “শেখ হাসিনার বারতা-নারী পুরুষ সমতা”। যারা আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেছেন এবং আমাদের ভাগ্যকে রূপ দিয়েছেন,সেই সকল মা, দাদী সৎ মা এবং মাতৃত্বের বাক্তিদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় র্যালী পরবর্তী উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতার জনি। উপজেলা প্রতিবন্ধী সাহয্য সহায়ক কেন্দ্রের কর্মকর্তা মুনসুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সোয়েব খান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী, বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, ব্রাক কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, শিক্ষার্থী আসমানী খাতুন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রায় শতাধিক মা। #