গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ……………………………………
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী সোহানা(০৮) নামক এক শিশুকে ধর্ষণ এর চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যায়।
জানা যায়, শিশু সোহানার সাথে সিরাজুল হক কালু মূন্সী নামক পাশের বাড়ির এক পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রায়ই এইরুপ কর্মকান্ড করে আসছিল।এর আগেও সোহানাদের পরিবারের সাথে কালু শেখ ও তার লোকজনেরা গোন্ডগোল সংঘঠিত করে বলে এলাকাবাসী জানান।
গোপালগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলি আদালতের মহামান্য রোমানা রোজির নেওয়া ভুক্তভোগি সোহানার জবানবন্ধিতে পাওয়া যায়, অভিযুক্ত সিরাজুল হক কালু প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো।তাকে সবসময় তার সাথে যেতে বলতো।তাকে গলা কেটে ফেলবে বলে ভয় দেখাতো। আবার কখন ও তার বাবার হাত-পা কেটে ফেলার ভয় দেখিয়ে শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাতাহাতি করতো।
ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে তার বান্ধবির বাড়ি থেকে ফেরার পথে কালু মূন্সী তার পথ রোধ করে তার গলা কেটে ফেলবে হুমকী দিয়ে বাড়ির পাশের সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তার পরনের কাপড় খুলে ফেলে ধর্ষেণের চেষ্টা করে কালু মূন্সী। চিৎকার শুনে তার বাবা চলে আসলে কালু মুন্সী পালিয়ে যায়।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর বাবা শাহীন মূন্সী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬/০১/২০২৪ইং তারিখ রাত ১০টায় ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যানতন দমন আইন (৯(৪) খ মোতাবেক একটি মামলা রুজ হয় যাহার নং-০৬। মামলা হওয়ার দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পার হলেও আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ।
সরেজমিন তদন্তে যাওয়া এস আই সাইফুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে, ঘটনার সত্যতা পেলে আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর দাদি রহিমা বেগম বলেন, আমার নাতির সাথে ওরা যা করেছে আমরা এলাকার সকলের কাছে বিচার চেয়েছি। বিচার তো পায়নি, উল্টো ওরা আমার ছেলেকে হুমকী দিচ্ছে হাত-পা কেটে ফেলবে বলে। ওদের সাহায্য করছে আমাদের এলাকার মহীলা মেম্বার শেফালি। সে একজন মহিলা হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আল্লাহ তার বিচার করবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের একটি টিম সরেজমিনে গেলে মিন্না মুন্সী ও বেল্লাল মুন্সী তেড়ে মারতে আসে ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের। গোপন সূত্রে জানা অভিযুক্ত কালু মুন্সী মহীলা মেম্বারের মাধ্যমে সকলকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ব্যপারটি ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সোহানা সহ তার পরিবারের লোকজন ওদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।