নাজিম হাসান………………………………
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড.বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, জাতীর পিতা শেখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পরপরই দেশের পুলিশ বাহিনীকে জনগনের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যেগ গ্রহন করেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ মে বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম প্রশিক্ষন সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। বর্তমান সরকারের সময় পুলিশের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামোতে ক্যাডার পদসহ বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।পুলিশ বাহিনী কোনো খারাপ কাজ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হতে চায় না। নানা সাফল্যগাঁথা ও অর্জনের মাধ্যমেই সংবাদের শিরোনাম হতে চায়।
তিনি বৃহষ্পতিবার (৩০ জুন) সকালে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী রাজশাহীর সারদায় ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রট কনস্টেবল(টিআসি) ২০২১ ব্যাচের ৪শ ৫৩জন শিক্ষানবীশ টিআরসিদের ছয় মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষন সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দান কালে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশের নবীন সদস্যদের কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে আইজিপি বলেন, কোনো পুলিশ সদেস্যর অপরাধের দায় গোটা বাহিনী নেবে না। ব্যক্তিকেই নিতে হবে। তাই দেশপ্রেম নিয়ে প্রত্যেক সদস্যকে কাজ করতে হবে। পুলিশ এমন কোনো কাজ করবে না, যাতে জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়। এর আগে, পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন আইজিপি। পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী টিআরসিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। ছয় মাস মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে টিআরসিদের মধ্য থেকে আইন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন বিশাল (টিআরসি নং-২৩৯৩০৫)। মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ টিআরসি নির্বাচিত হন- সিয়াম সিদ্দিকী সাগর (টিআরসি নং-২৩৯০২৪)।
এছাড়া প্যারেডে মোট ৪৫৩ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে আইজিপি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং টিআরসিনের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এ সময় পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল আবু হাসান মুহম্মদ তারিক এবং আইজিপি পতœী পুনাকের সভানেত্রী বেগম জীশান মীর্জা, উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম পৌর মেয়র একরামুল হকসহ উচ্চ পদস্ত পুলিশ কর্মকর্তাগন এবং রাজশাহী বিভাগের পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।#