বিশেষ প্রতিনিধি………………………………………………….
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও উপজেলা,পৌরসভা নির্বাচনও বাদ দেননি ইসরাফিল বিশ্বাস। উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ইসরাফিল বিশ্বাস । কিন্তু নির্বাচনী এলাকার ১শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সঠিক না হওয়ায় তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যায়। ২০০৮ সালেও মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেছিলেন তিনি। এবারেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে মানোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ইসরাফিল বিশ্বাস। তার মনোনয়নপত্রে সাথে সমর্থনসূচক স্বাক্ষর পর্যাপ্ত না থাকায় এবারেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
একই সাথে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল ইসলামেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। রোবাবার(০৩-১২-২০২৩) রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৯জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে স্বতন্ত্র দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
বৈধ প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী তিনবারের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ্রিয়ার আলম এমপি, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা কমিটির আহ্বায়ক শামসুদ্দিন রিন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) মনোনীত ও কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জুলফিকার মান্নান জামী, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন আলী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা কমিটির সভাপতি আবদুস সামাদ (নোঙ্গর),ন্যাশনাল পিপলস পার্টি(এনপিপি),মহসিন আলী ও আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহেনুল হক রায়হান।
জানা যায়, ২০০৯ সালে বাঘা উপজেলা পরিষদের তৃতীয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের ৪র্থ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর’ চতুর্থ ধাপের অনুষ্ঠেয় বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন ইসরাফিল বিশ্বাস। এর আগেও পৌরসভার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। কিন্তু একবারও টিকেনি জামানত। তার পরেও ছাড়েননি নির্বাচন। নির্বাচন এলেই প্রার্থী হওয়া তার নেশা। ভোট পাগল ইসরাফিল বিশ্বাস হলেন রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার বলিহার এলাকার বাসিন্দা । পেশায় ছিলেন টিউবওয়েল মিস্ত্রী। পরে ব্যবসার প্রসার ঘটিয়ে ‘আলিফ-লাম-মিম’ডেকোরেটর নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। তার ইচ্ছা জনপ্রতিনিধি হওয়ার। কিন্তু ভোটাররা সাড়া দেয়না না।
তিনি জানান, এতে দুঃখ নেই তার। ‘এভাবে প্রার্থী হয়েই একদিন লেগে যাবে- সফলতা আসবেই। ভোট পাগল এ মানুষটিকে নিয়ে সাধারণ ভোটাররা হাসি-ঠাট্টা করে বিনোদন নিলেও বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীসহ আ’লীগের বিদ্রোহী ও বিএনপি-জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও মাঠে প্রচারণা ও গণসংযোগ করেছেন। পৌরসভার আব্দুল হালিম নামের একজন বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে তার ব্যতিক্রমী প্রচারণা ইতিবাচক উদাহরণ হতে পারে। মিলিক বাঘার হাবিবুর রহমান বলেন, ভোটের মাঠে যেখানে অর্থ আর ক্ষমতার লড়াই চলে, সেখানে ওই প্রার্থীর সাদামাটা অংশগ্রহণকে ইতিবাচক বলে মনে হয়েছে। ।#