আহমাদ এফ এম বুরহান, খুলনা প্রতিনিধি…………………………………………….
আজ সোমবার ( ৩ সেপ্টেম্বর ) বিকাল ৩ টায় খুলনা বাবরী চত্বরে (শিববাড়ী) অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ, নির্বাচন কমিশন বাতিল, সংখানুপাতিক নির্বাচন (PR) পদ্ধতির প্রবর্তন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলা আয়োজিত সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, অনিবার্য সংঘাত এড়াতে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের ঘোষণা দিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অধীনে হবে না, হতে দেয়া হবে না। সরকার সসম্মানে পদত্যাগ না করলে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
তিনি আরো বলেন , বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে নরকে পরিণত করেছে। কোথাও শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। গুম-খুনের আতঙ্কে মানুষ উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক সেই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর ডিম ফর্মুলা দেশব্যাপী হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা আজ সরাসরি সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এসব সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মেহনতি মানুষ আজ অসহায়।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আজ দেশের মানুষ দিশেহারা, লাঞ্চিত, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, দেশে শান্তি নাই- স্বস্তি নাই, ধুকে ধুকে মরছে দেশের জনগণ। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে, যারা দেশের সম্পদ লুটপাট করে নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে, যারা দেশের জনগণের কথা ভাবে না, তারা ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তোরণে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতির প্রবর্তন করতে হবে।
তিনি মেহনতি, কর্মজীবী, শ্রমজীবী, আলেম-ওলামা, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবি সংগঠনসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে আওয়ামী স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, সভ্যসমাজের প্রতীক হলো পোশাক। বোরকা বা হিজাব মুসলিম মেয়েদের পোশাকের অন্যতম অংশ এবং এটি ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরমতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শিক্ষকের আসনে বসে বোরকা নিয়ে আপত্তি তুলবে এটি হতে পারে না। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশব্যাপী আন্দোলনের দাবানল জ্বালিয়ে দেয়া হবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মাওলানা মোহাম্মদ শোয়াইব হোসেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারি মুফতী ইমরান হুসাইন ও জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ গালিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের নগর সহ সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ্, মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মোঃ আবু গালিব,আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম,মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতী আব্দুল জব্বার আযমী,মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মুফতী আশরাফুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ুন কবির , আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মোঃ নিজাম উদ্দিন মল্লিক, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মুফতী ইলিয়াস মাঞ্জুরী,মাওঃ আসাদুল্লাহ হামিদি, মাওঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ রেজাউল করীম,মাওলানা মাহবুবুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া।
এছাড়াও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রওশান আলী,আলহাজ্ব সরোয়ার বন্ধ, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, মাওলানা নাছিম উদ্দিন শেখ, মোল্লা রবিউল ইসলাম, মোঃ শাহিন হোসেন, এইচ এম আরিফুল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, মুফতী মইনুল ইসলাম, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা হাফিজুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন,শিক্ষকনেতা রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা মাহবুবুল আলম,যুবনেতা মুফতী আহম আব্দুর রহমান মিয়াজী, মুফতী ফজলুল হক, আব্দুর রশিদ, এসকে নাজমুল হাসান, শ্রমিকনেতা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম,ছাত্রনেতা মঈনউদ্দিন, আবু রায়হান,নাঈম হোসেন,মাহাদী হাসান মুন্না প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। বক্তৃতা করেন। #