1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
হাবিবরা শুধু চুরি, রাহাজানী, খুন,ডাকাতি করে বেড়িয়েছে: পিন্টু রাজশাহী-১ আসনে এবি পার্টির মনোনীত প্রার্থী ড. মোঃ আব্দুর রহমান মুহসেনীর গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ব্যাপী শিল্প উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন পত্নীতলায় আন্তঃওয়ার্ড ফুটবল টুর্ণামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনে জনগণ নয়, বিজয়ীদের প্রশাসন নির্বাচিত করেছিল: মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল নওগাঁর আত্রাইয়ে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছে নাচোলে ষ্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভা নওগাঁর সাপাহারে শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত ৩ অসহায় শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত গড়লো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপসী নওগাঁ ধর্ম, শান্তি ও মানবতার সন্ধানে

সার- ডিজেলের দাম বাড়লেও নওগাঁর বাজারে ধানের দাম বাড়েনি

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ প্রতিনিধি…………………………………………

বিশা পালপাড়ার কৃষক সুশান্ত পাল(৫৩) হাটে এসে খুব হতাশ ও নির্বাক হয়েছিলেন। নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সমসপাড়া হাটে তিন মণ ধান বিক্রির জন্য এনেছিলেন তিনি। প্রতিমন ৯০= ধান ১১৫০ টাকা দরে তিন মণ ধান বিক্রি করেন। নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের কৃষক অছির উদ্দিনের মতো হাটে আসা অন্য কৃষকদেরও গত শুক্রবার সকালে হতাশ দেখাগেছে।

 

হরেন্দ্র নাথ সাংবাদিককে বলেন, সার ও ডিজেলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। আমাদের উৎপাদিত ধানের দাম বাড়েনি। এখনো কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। এক মাস আগে যে ধান প্রতিমণ এক হাজার এক শত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে এক হাজার পঞ্চাশ টাকা দরে। জমিতে ফসল উৎপাদন করলেই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে” ধান বিক্রি করতে আসা উপজেলার দর্শন গ্রামের কৃষক আয়েজ উদ্দিন (৬২) এ প্রতিনিধিকে বলেন, সার ও ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক বাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ ও নির্বাক।

 

তিনি জানান, গত শনিবার প্রতি বিঘা জমি পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করতে খরচ হয়েছে তিন শত টাকা। পরের দিন খরচ হয়েছে চার শত টাকা।তিনি আরো বলেন, সার, কিটনাশকের দাম বেড়েছে। কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। কিন্তু আমাদের উৎপাদিত ফসলের দাম বাড়েনি। কৃষি কাজ ছেড়ে দিতে হবে।এভাবে আর কুলাতে পারছি না। হাটে আসা উপজেলার পৈঁসাওতা গ্রামের মনিরউদ্দিন (৫৮) বলেন, হাটে পাঁচ শত মণ ধান এনেছি বিক্রির জন্য। দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পর অবশেষে কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। প্রতিমণ ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি করেছি। আমরা অসহায়, বাকহীন। আমাদের কথা কেউ ভাবেন না।

 

সমসপাড়া হাটে ধান ক্রেতা কছিমুদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কৃষকদের কাছ থেকে কিনে তা মহাজসদের কাছে বিক্রি করি। প্রতি মন ধানে দশ-পনর টাকা লাভ করতে পারি।

 

সমসপাড়া হাটে ধান ক্রেতা পাইকার অহির উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ ধান এক হাজার একশত পঞ্চাশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে তা মহাজনদের কাছে বিক্রি করি। প্রতিমণে দশ-পনর টাকা লাভ করতে পারি। সিংড়ার চাচকোর-গুরুদাশপুর ধান চালের মহাজন আব্দুল মজিদ মিয়া বলেন, গুদামে পর্যাপ্ত ধান মজুদ আছে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে। আগের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট