# নাজিম হাসান………………………………………………………
এবার ধানের ভাল মূল্য পাওয়ায় লাভের মুখ দেখায় খুশিতে আবারো আমন চাষে নেমে পড়েছে রাজশাহীর বাগমারার কৃষকরা। ধানের এই বাড়তি মূল্য পাওযায় উৎপাদন খরচ মিটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পায় এই এলাকার কৃষকরা। তাই আষঢ়ের বৃষ্টিতে কাকডাকা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি চাষাবাদ ও ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এর আগে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে মুলধন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তবে এবার ধানের বাড়তি দাম থাকায় কৃষককের আর লোকসান গুনতে হয়নি।
কৃষকরা জানান, কৃষি উৎপাদনের প্রধান উপকরণ সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম বাড়তি থাকলেও ধানের ভাল দাম পেয়ে তারা সে খরচ পুষিয়ে ওঠতে পেরেছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এলাকায় ১০ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্বারন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫শ হেক্টর বেশি। তবে কৃষি বিভাগের মতে, গত বছরের তুলনায় আমন চাষের লক্ষমাত্রা বেশি নির্ধারন করা হলেও স¤প্রতি ধানের দর বেশি হওয়ায় এই লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর আগে ধানের দর ব্যাপক হারে পড়ে যাওয়ায় কুষকরা তাদের ধানের জমিতে পুকুর খননের জন্য লীজ দেওয়া শুরু করে পুকুর মালিকদের। তবে এখন কুষকের এই প্রবনতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। তারা পুকুর খনন থেকে সরে এসে এখন ধান চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেছে।
গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কৃষক সবির, ফারাস ও কাজিম জানান, আমন মৌসুমে ধানের দাম ভালো পেয়েছি, তাই বেশি পরিমাণ জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ করছি। আশা করি আগামীতেও ধানের দাম ভাল পাবো।
এলাকা সুত্রে জানা যায়, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার লোকজন কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই প্রতি বছরের ন্যায় কৃষকরা এবারও বুক ভর আশা নিয়ে আমন চাষে বিলে নেমে পড়েছে। তাদের প্রত্যাশা সররকার ধানের এই মূল্য ধরে রাখলে কৃষকরা ধান উৎপাদনে আরো আগ্রহী হয়ে ওঠবেন। উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান জানান,যুগ যুগ ধরে তিনি কৃষি জমিতে ধান চাষ করে আসছেন। কিন্তু এ বছর বোরো চাষ করে তিনি লাভের মুখ দেখতে পয়েছেন। তাই গত বছরের তুলনায় এবার তিনি বেশি পরিমান জমিতে আমন চাষ শুরু করেছেন। এছাড়া অবশিষ্ট জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন বলে তিনি জানান। পেঁয়াজ, আলু, ধান, পাট, সব^জির দাম এখন অনেকটা ভাল। তার মতে সরকার কৃষি পন্যের এই মূল্য ও বাজার ধরে রাখতে পারলে সার্বিক ভাবে কৃষকদের উন্নয়ন ঘটবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।#