গাইবান্ধা থেকে সাংবাদিক মোঃ শাহাদৎ হোসেন খোকন/ মোছাঃ
শাহরিন সুলতানা সুমা………………………………………
শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ শেখ হাসিনারা বাংলাদেশ। সরকার বললওে র্কাযত: হচ্ছে তার উল্টাে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনিয়ম দিন দিন দানা বেঁধে উঠেছে। অনিয়মের অভিযোগ হওয়ার পরও সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে না। ফলে অনিয়মের মাত্রা বেড়েই চলেছে।
আমাদরে গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত ৭নং রামজীবন ইউনিয়নের পগলার তল বেটাকারী গ্রামে অবস্থিত বেকাটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ লাইজু বেগমের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৪০
হাজার টাকা এবং ২০২৩ সালের বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকা সঠিক ভাবে কাজ না করে
ভ‚য়া ভাউচারের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান বেকাটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ লাইজু বেগমের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করা হইলেও যথাসময়ে তার প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রতিনিধি জানান, সুন্দরগঞ্জ নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ ২০২২-২০২৩ সালের স্লিপের বরাদ্দকৃত ৮০ হাজার টাকার মধ্যে কাজ না করেই প্রায় ৬০ হাজার টাকা অত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়ার বিরুদ্ধে কর্তব্যে
অবহেলা দূরব্যবহার করার অভিযোগ এর প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা ও
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করা হলেও অদ্যাবধি উক্ত
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানাগেছে। তধ্য গোপন
করে নিজ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ
মিয়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপর পক্ষে দক্ষিণ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুল
ইসলাম ২০২২-২৩ সালের স্লিপের বরাদ্দকৃত ৮০ হাজার টাকার কাজ না করেই প্রায়
৬০ হাজার টাকা অত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী জানান প্রধান
শিক্ষক এর বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা দূরব্যবহার করার অভিযোগ এর প্রতিকার চেয়ে
জেলা প্রশাসক গাইবান্ধা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ
করা হলেও অদ্যাবধি উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে
জানাগেছে।
মোঃ আশরাফুল ইসলাম মানু কোন কাজ ছাড়াই সুন্দরগঞ্জে অবস্থান করেন।
যাহা সরকারি আইনে দন্ডনীয় অপরাধ তাই প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক
ব্যবস্থা করা অতিবো প্রয়োজন। নইলে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা একে বারে ভেঙ্গে
পড়বে বলে সচেতনমহল মনে করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িত প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুঠো ফোনে জানান, প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে এলাকাবাসী জলো প্রশাসকরে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুধু তদন্ত চলছে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না।
এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রংপুর বিভাগ রংপুর জানান
লিখিত অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#