1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
হাছান-জাবেদ-নওফেলসহ ৮৬৫ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর মামলা খুলনায় সাবেক এমপি সালাম মুর্শিদি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে সরিয়ে দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ মার্কিন নির্বাচন : ট্রাম্পই যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে? ধামইরহাটে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত বাঘায় নবাগত ইউএনও কে ফুলেল শুভেচ্ছা বাঘায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগনের সাথে নবাগত ইউএনওর পরিচিতি ও মত বিনিময় সভা রূপসায় ৫’ম অধ্যক্ষ খান আলমগীর কবির স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টর ১ম পর্বের ৪র্থ খেলা অনুষ্ঠিত পোরশায় মুনলাইট ফার্মেসিতে ১১ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

নাটোরের লালপুরে ইউএনও’র পা ধরে কেঁদেও আশ্রয়ন প্রকল্পে ঠাঁই মেলেনি হালিমা–লালন দম্পতির

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩
  • ১৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মেহেরুল ইসলাম মোহন, (লালপুর)নাটোর………………………………….

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমা বেগম ও লালন সরদার দম্পতির। লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের কয়েক ধাপে ঘর দেয়া হলেও জোটেনি হালিমা-লালন দম্পতির ভাগ্যে। ঘুরছে দ্বারে দ্বারে।

 

জানা যায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামের মা হারা লালন সরদারের সাথে মা-বাবা হারা হালিমা। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় জন্ম নেয়া হালিমা বেগম ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে বড় হয়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজন নেই।সুখে দুঃখের খোঁজ কে নিবে এমনভাবেই নিজের কষ্টের কথা বলতে বলতে দু’ চোখের পানি গড়িয়ে বুকের মধ্যে থাকা কষ্টো দুরে ঠেলে দিচ্ছে।

 

এ দিকে হালিমার স্বামীও লালন সরদার ছোট বেলায় মাকে হারিয়ে সৎ মায়ের ঘরেই নানা কষ্টের মধ্য বড় হয়েছে। ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে হালিমাকে।কখনো ভাড়া , কখনো অন্যের বাড়িতে বসবাস করে। বিয়ের পরে তাদের কোলজুড়ে এসেছে ২ টি মেয়ে। বড় মেয়ে লামিয়া এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে সুমাইয়া শিশু শ্রেণীতে পড়ছে।

 

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হলেও হালিমার ভাগ্যে জোটেনি সেই ঘর। এ বিষয়ে হালিমা বলেন , শ্বশুরের একটি ছাপরা ঘরের সাথে ৩টা টিন বেঁধে কোন রকমে থাকি। বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে রাতে রেখে আসি। রাত আসলে মনে হয় আত্মহত্যা করি। আবার ভাবি দুনিয়ায় আমার কেউ নাই, মেয়ে দুটিকে নিয়ে কষ্টের পর সুখ আসতে পারে।

 

লালন সরদার বলেন , আমার জায়গা জমি কিছুই নেই , ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছি। সে কষ্ট বুকে নিয়ে এতিম অসহায়কে বিয়ে করেছি। সরকার ঘর দিচ্ছে, যাদের টাকা আছে ঘর আছে, জমি আছে তারাই ঘর পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইউএনও”র পা ধরে আমার বউ কেঁদেছে তার পরেও একটি ঘর দেননিন। আমার মেয়ের পড়াশুনা করার জন্য একটা ঘর দরকার।

 

বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, অসহায় পরিবারের জন্য আগামীতে সুযোগ পেলেই লালন-হালিমা দম্পত্তির জন্য ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার শামীমা সুলতানার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি ।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট