জিয়াউল কবির: বাদীর কাছে প্রত্যাশানুযায়ী ঘুষ আদায় করতে না পেরে ৪টি হত্যা মামলার আসামীর পক্ষ নিয়ে আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল ও অন্য ৩টি মামলায় একই আসামীকে গ্রেফতার না করে আরএমপির ফিরানো সুনামের হানিতে লিপ্ত হয়েছেন দামকুড়া থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত পুলিশের নাম এস আই শরিফুল ইসলাম। বিপি নং ৯০১৭১৯৯৩২৪,নিরস্ত্র। আসামীর নাম কাররুজ্জামান নবাব পিতার নাম মৃত নরিক হোসেন। মামলা জি আর-৩৭৩/২৪,৮৭/২৪,৯০/২৩ ও পিবিআই’র তদন্তাধীন অপর একটি মামলা। নবাবের বাড়ী নগরীর দামকুড়া থানাধীন হরিপুর সোনাইকান্দি এলাকায়।
অপর আসামী নবাবের ভাই নোমান আলী। তারা একই এলাকার মৃত ইয়াকুব আলীর কন্যা ফিরোজা বেগমের জমি অবৈধ ও বেআইনীভাবে গায়ের জোরে দখল করে ফিরোজার জমিকে তাদের নিজের জমি বলে প্রচার করে ভুমি অপরাধ আইনের ৪ ও ৫ ধারার অপরাধে আসামী লিপ্ত আছেন মর্মে জেলার দামকুড়া থানার আমলী আদালতে ৯০/২৩ নং মামলা পর দামকুড়া থানার এস আই শরিফুল ইসলামের ওপর আদালত তদন্তভার প্রদান করে। আদালতের অনুমিত না নিয়ে নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদন দাখিল না করে নিজ ইচ্ছামত কালক্ষেপন করে উক্ত এস আই শরিফুল ইসলাম আসামীর সাথে সখ্যতা তৈরী করে বাদীর কাছে বড় অংকের উৎকোচ চেয়ে না পেয়ে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী ও জমি দখলকারী কামরুজ্জামানের জমি দখলকে বৈধতা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে ও আদালতে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এবং শুনানি ছাড়াই কাজ করিয়ে বাদীর ক্ষতি সাধনে নিতে লিপ্ত হয়।
বাদীর আরজিতে লিখিত তথ্য ও কথা বলে জানা গেছে আসামী কামরুজ্জামান ও তার ভাই নোমান আলী সহ তার পিতা বর্তমানে মৃত নরিক হোসেন হরিপুর মৌজার নালিশী ২০৬২ নং দাগে ছল চাতুরী করে ও ভয় দেখিয়ে যাদের কাছে থেকে জমির দলিল করে নেয় তাদের অংশ নালিশী ২০৬২ নং দাগে ১৪৪ মোট জমি মধ্যে অংশের মালিকানা ৬৩ ছিল কিন্তু চৌহদ্দিতে প্রতারনা করে দলিলে জমির পরিমাণ বেশী করে তুলে নেয় ৭১ এবং এই জালিয়াতি দলিল মুলে দাগে ৬৩ শতকের পরিবর্তে ৮১ শতক দখল করে নেয়। বন্টন দলিল নেই এমন নালিশী উক্ত ২০৬২ নং দাগের অন্য জমিখরিদ কারী ফিরোজা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পড়ে।
আসামীরা উক্ত দাগে ৬৩ শতক আইনী দখলের পরিবর্তে ৮১ শতক বাদীকে ভয় দেখিয়ে গায়ের জোরে বেআইনী দখল করে ভুমি আইনের উক্ত ধারার অপরাধে লিপ্ত থাকে বলে জানা গেছে। এস আই শরিফুল ইসলাম তার প্রতিবেদনে নালিশী ২০৬২ নং দাগে আসামীরা ৮১ শতক দখল করে খাচ্ছে উল্লেখ করলেও যাহা বেআইনী ও ভুমি অপরাধ আইনের উক্ত ধারায় অপরাধী লেখার পরিবর্তে অপরাধের সাক্ষ্য প্রমাণ পান নাই মর্মে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া আসৎ আইও বাদীর অধিকার লংঘন করে তদন্তের ফলাফল বাদিীকে না জানিয়ে দাখিলী প্রতিবেদনে বাদীকে ফলাফল জানানো হইল মর্মে আদালতে মিথ্যা তথ্য দাখিল করেন। এ বিযয়ে এসআই শরিফুল ইসলামের সাথে মঙ্গলবার বিকাল ৪:২৫ মিনিটে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।#